Skip to main content

Posts

ইসালামী শিক্ষার সে কাল আর এ কাল !

  ইসলামের প্রথম দিকের ধর্মীয় ‍শিক্ষার প্রথম পর্যায়ঃ- মাদ্রাসার প্রাথমিক ইতিহাসঃ- মাদ্রাসা শিক্ষায় প্রথম প্রতিষ্ঠান ছিল সাফা পর্বতের পাদদেশে যায়েদ-বিন-আরকামের বাড়িতে - যেখানে স্বয়ং রসুল (স:) ছিলেন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী ছিলেন তাঁর কয়েকজন অনুসারী নওমুসলিম। হিজরতের পর মদিনায় মসজিদে নববি-র পূর্বপাশে স্থাপিত হয় মাদ্রাসা আহলে সুফ্‌ফা। শিক্ষক ছিলেন উবাদা-ইবন সামিত আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন আবু হুরাইরা , মুয়াজ-ইবন জবল, গিফারি প্রমুখ। সেকালের মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতে ছিল, কোরআন, হাদিস, ফারায়েজ, প্রাথমিক চিকিৎসা, বংশ শাস্ত্র, তাজবিদ ইত্যাদি। এছাড়া অশ্ব চালনা, যুদ্ধবিদ্যা, হস্তলিপি বিদ্যা, শরীর চর্চা ইত্যাদিও পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর পর নবুয়তের প্রথম দিন থেকে উমাইয়া বংশের শাসনামলের প্রথম ভাগ পর্যন্ত প্রায় একশ বছর সময়কালকে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রথম পর্যায় ধরা হয়। রেগিস্তান, সমরকন্দে শের-দর মাদরাসাঃ- ইসলামের মধ্যযুগে কোনো কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় কে বলা হত মকতব, যা অন্তত ১০ম শতাব্দি থেকে বলা হয়ে এসেছে। মাদরাসার মতই (যাকে অবহিত করা হয় উচ্চতর শিক্ষা বলে), মকতবও সাধারণত পারস্পরিক সম

কাবায় মূর্তী এলো যে ভাবে !

  কাবায় মূর্তী এলো যে ভাবে ! মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মক্কার বাসিন্দারা মূলতঃ হযরত ইব্রাহিম আঃ এর পুত্র হযরত  ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশধর ছিল এবং তারা জন্মগত ভাবেই তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতে বিশ্বাস আল্লাহর গৃহ বা বায়তুল্লাহ বলে বিশ্বাস করত এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করত। তারা এখানে নিয়মিতভাবে তাওয়াফ, সাঈ করতো।  বহিরাগত হাজীদের নিরাপত্তা ও পানি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করত। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কোন নবী না আসায় শয়তানী প্ররোচনায় অনেকে পথভ্রষ্ট হয়ে যায় এবং এক সময় তাদের মাধ্যমেই মূর্তিপূজার শিরকের প্রচলন হয়।    জাহিলাতে ও  মক্কাবাসী সবারই অভ্যাস ছিল, মক্কার বাইরে যাওয়ার আগে ও ফেরত এলে কাবা তাওয়াফ করা, কাবা থেকে তারা বেশিদিন দূরে থাকতে পছন্দ করত না; যদি থাকতে হতো, তাহলে তারা কাবা প্রাঙ্গণের কোনো পাথরকে পবিত্র জ্ঞান করে নিয়ে যেত, এবং সফরে থাকাকালীন অভ্যাসবশত সেই পাথরকে মাটিতে রেখে সেটাকে কেন্দ্র করে তাওয়াফ সেরে নিত; কয়েক জেনারেশনের মাঝেই বিভিন্ন ব্যবসায়িক সফর ও দেশ বিদেশের নানা জাতির সংস্পর্শে এসে সেই রীতিটা দেবদেবীর উপাসনা দ্বারা প্রভাবিত হতে শুরু করলো; এছাড়া, অন্যান্য জাতির দেবদেবী

কবরের সওয়াল-জবাব আর আজাব নামধারী আলেমদের বানানো মনগড়া গল্প

            "বিস‌মিল্লা‌হের রহমানুর র‌হিম" কবরের সওয়াল-জবাব আর আজাব নামধারী আলেমদের বানানো মনগড়া গল্প কবরের সওয়াল-জবাব আর আজাব নামধারী আলেমদের বানানো মনগড়া গল্প, যার কোনো রেফারেন্স কুরআনে নেই ! পড়ে দেখুন কুরআন কি বলে -  Al-Mu'minun 23:(99-101) এমনকি যখন তাদের কারো কাছে মৃত্যু এসে হাজির হয় তখন সে বলে : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আবার (দুনিয়াতে) পাঠিয়ে দাও। যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি করিনি। কক্ষনো না, এটা তো তার একটা কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত। Al-An'am 6:(60-62) ##অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন তাদের পরস্পরের মাঝে আত্মীয় বন্ধন থাকবে না। একে অপরের কাছে জিজ্ঞেসও করবে না। তিনিই রাত্রিকালে তোমাদের আত্মাকে নিয়ে নেন, আর দিনের বেলা যা তোমরা কর তা তিনি জানেন। অতঃপর দিনের বেলা তিনি তোমাদের জাগিয়ে দেন, যাতে জীবনের নির্দিষ্টকাল পূর্ণ হয়। অতঃপর তাঁর পানেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন, অতঃপর তিনি তোমাদের নিকট বর্ণনা করে দেবেন যা তোমরা করছিলে। তিনি তাঁর বান্দাহদের উপর পূর্ণ কর্তৃত্বশীল, আর তিনি তোমাদের উপর রক্ষক নিযুক্ত

স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের উপরে ঈমান আনার গল্প বা সারশ পাখির গল্প

  স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের  উপরে ঈমান আনার গল্প মোঃ জাহাঙ্গীর আলম   -ঃস্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের উপরে ঈমান আনার গল্পঃ- কা‌হিনী সূত্রঃ কা‌হিনীটা মূলতঃ পবিত্র কোরানের সুরা নাজমের নাযিলের উপর ভিত্তি করেই এই স্যাটানিক ভার্সেস বা শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প সম্বলিত উপন্যাসটা রচিত! সুতরাং প্রথমে সুরা নাজমের বিষয়ে আমাদের যতোটুকু জানা সম্বব জানতে হবে! তবেই এর সত্য মিথ্যাটা আমাদের নিকট পরিস্কার হবে। সুরা আন-নাজম, সুরা নং- ৫৩ আয়াত সংখ্যাঃ- ৬২ নামকরণঃ- এই সূরাটির প্রথম শব্দ وَالنَّجْمِ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটি النّجْم (‘নাজম‌‌’) শব্দটি দ্বারা শুরু হয়েছে এটি সেই সূরা। নাযিল হওয়ার সময় ও স্থানঃ- বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, ও নাসায়ীতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, সর্ব প্রথম যে সূরাটিতে সিজাদার আয়াত নাযিল হয়েছে, সেটি হচ্ছে, সূরা আন-নাজম । এ হাদীসের যে অংশসমূহ আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ, আবু ইসহাক এবং যুহারের ইবনে মুয়াবিয়া কর্তৃক ইবনে মাসউদের রেওয়ায়াত সমূহে বর্ণিত হয়েছে তা থেকে জানা যায় যে, এটি কুরআন মজীদের প্রথম সূরা যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ