"বিসমিল্লাহের রহমানুর রহিম"
কবরের সওয়াল-জবাব আর আজাব নামধারী আলেমদের বানানো মনগড়া গল্প
কবরের সওয়াল-জবাব আর আজাব নামধারী আলেমদের বানানো মনগড়া গল্প, যার কোনো রেফারেন্স কুরআনে নেই ! পড়ে দেখুন কুরআন কি বলে -
Al-Mu'minun 23:(99-101)
এমনকি যখন তাদের কারো কাছে মৃত্যু এসে হাজির হয় তখন সে বলে : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আবার (দুনিয়াতে) পাঠিয়ে দাও।
যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি করিনি। কক্ষনো না, এটা তো তার একটা কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত।
Al-An'am 6:(60-62)
##অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন তাদের পরস্পরের মাঝে আত্মীয় বন্ধন থাকবে না। একে অপরের কাছে জিজ্ঞেসও করবে না। তিনিই রাত্রিকালে তোমাদের আত্মাকে নিয়ে নেন, আর দিনের বেলা যা তোমরা কর তা তিনি জানেন। অতঃপর দিনের বেলা তিনি তোমাদের জাগিয়ে দেন, যাতে জীবনের নির্দিষ্টকাল পূর্ণ হয়। অতঃপর তাঁর পানেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন, অতঃপর তিনি তোমাদের নিকট বর্ণনা করে দেবেন যা তোমরা করছিলে। তিনি তাঁর বান্দাহদের উপর পূর্ণ কর্তৃত্বশীল, আর তিনি তোমাদের উপর রক্ষক নিযুক্ত করেন। অতঃপর তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে আমার প্রেরিতগণ (ফেরেশতারা) তার মৃত্যু ঘটায়। নিজেদের কর্তব্য পালনে তারা বিন্দুমাত্র ত্রুটি করে না।
অতঃপর তাদেরকে তাদের প্রকৃত প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে। সাবধান! কর্তৃত্ব তাঁরই, আর তিনি হিসাব গ্রহণে সর্বাপেক্ষা ত্বরিতগতি। Muhammad 47:27
তখন কেমন দশা হবে যখন ফেরেশতারা তাদের মুখে আর পিঠে মারতে মারতে তাদের জান বের করবে।
An-Nazi'at 79:(1_5)
শপথ সেই ফেরেশতাদের যারা (পাপীদের আত্মা) নির্মমভাবে টেনে বের করে,
আর যারা (নেককারদের আত্মা) খুবই সহজভাবে বের করে,
শপথ সেই ফেরেশতাদের যারা দ্রুতগতিতে সাঁতার কাটে,
আর (আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য) ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে যায়,
অতঃপর সব কাজের ব্যবস্থা করে।
Al-Mutaffifin 83 আয়াত নং ৭-২২
৭,(তারা যে সব ধারণা করছে তা) কক্ষনো না, নিশ্চয়ই পাপীদের ‘আমালনামা সিজ্জীনে (সংরক্ষিত) আছে।
৮,তুমি কি জান সিজ্জীন কী
৯,সীলমোহরকৃত কিতাব।
১০,সেদিন দুর্ভোগ হবে অস্বীকারকারীদের,
১১,যারা কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করে।
১২,কেবল সীমালঙ্ঘনকারী, পাপাচারী ছাড়া কেউই তা অস্বীকার করে না।
১৩,তার সামনে যখন আমার আয়াত পড়ে শোনানো হয়, তখন সে বলে, ‘এ তো প্রাচীন কালের লোকেদের কাহিনী’’।
১৪,কক্ষনো না, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে জং ধরিয়ে দিয়েছে।
১৫,কক্ষনো না, তারা সেদিন তাদের প্রতিপালক থেকে পর্দার আড়ালে থাকবে।
১৬,অতঃপর তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
১৭,অতঃপর বলা হবে ‘এটাই তা যা তোমরা অস্বীকার করতে।’
১৮,(ভাল-মন্দের বিচার হবে না, শাস্তি-পুরস্কার কিছুই হবে না তা) কক্ষনো না, নিশ্চয়ই সৎলোকদের ‘আমালমানা ‘ইল্লিয়ীনে (সংরক্ষিত) আছে।
১৯,তুমি কি জান ইল্লিয়ীন কী?
২০,সীলমোহরকৃত কিতাব।
২১,আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত (ফেরেশতারা) তার তত্ত্বাবধান করে।
২২,পুণ্যবান লোকেরা থাকবে অফুরন্ত নি‘মাতের মাঝে।
২. আল-বাকারা -২:২৮
কীভাবে তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরী করছ অথচ তোমরা ছিলে মৃত? অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেছেন। এরপর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দেবেন অতঃপর জীবিত করবেন। এরপর তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
২২. আল-হজ্জ-22:7
আর কিয়ামত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই এবং কবরে যারা আছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের পুনরুত্থিত করবেন।
২২. আল-হজ্জ -২২:২
আর স্মরণ কর, যখন আমি ইবরাহীমকে সে ঘরের (বায়তুল্লাহ্র) স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না এবং আমার ঘরকে পাক সাফ রাখবে তাওয়াফকারী, রুকূ-সিজদা ও দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর জন্য’।
২৩. আল-মুমিনুন 15-16- ২৩:১৫
এরপর অবশ্যই তোমরা মরবে। আল-বায়ান. তারপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমরা পুনরুত্থিত হবে। আল-বায়ান
Ar-Rum 30:11
আল্লাহ সৃষ্টির সূচনা করেন, অতঃপর তিনি তার পুনরাবৃত্তি করবেন, অতঃপর তাঁর দিকেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।
৩২. আস-সাজদাহ- ৩২:১০
আর তারা বলে, ‘আমরা যখন মাটিতে মিশে যাব তখন কি আবার নতুন সৃষ্টি হব’? বরং তারাতো তাদের রবের সাক্ষাৎকে অস্বীকারকারী। আল-বায়ান
৩২. আস-সাজদাহ- ৩২:১১
বল, ‘তোমাদেরকে মৃত্যু দেবে মৃত্যুর ফেরেশতা যাকে তোমাদের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। তারপর তোমাদের রবের নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে’। আল-বায়ান
৪০. গাফির (আল মু'মিন)-৪০:১১
তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’বার জীবন দিয়েছেন। অতঃপর আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব (জাহান্নাম থেকে) বের হবার কোন পথ আছে কি’?
Ya Sin 36:(51-52)
অনুবাদঃ- (৫১-৫২) আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা কবর থেকে তাদের রবের দিকে ছুটে আসবে। তারা বলবে, ‘হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠালো’? (তাদেরকে বলা হবে) ‘এটা তো তা যার ওয়াদা পরম করুনাময় করেছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন’।
Al-Qamar 54:7-8
অনুবাদঃ- "তারা তাদের দৃষ্টি অবনত অবস্থায় কবর থেকে বের হয়ে আসবে। মনে হবে যেন তারা বিক্ষিপ্ত পঙ্গপাল। তারা আহবানকারীর দিকে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় ছুটে আসবে। কাফিররা বলবে, ‘এটি বড়ই কঠিন দিন’।"
'Abasa 80:17-22
অনুবাদঃ-{১৭-২২}" মানুষ ধ্বংস হোক, সে কতইনা অকৃতজ্ঞ! তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন? শুক্র বিন্দু থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে সুগঠিত করেছেন। তারপর তিনি তার পথ সহজ করে দিয়েছেন। তারপর তিনি তাকে মৃত্যু দেন এবং তাকে কবরস্থ করেন। তারপর যখন তিনি ইচ্ছা করবেন, তাকে পুনর্জীবিত করবেন।"
১/ মানুষের মৃত্যুর সময় মৃত্যুযন্ত্রনা আছে,এ বিষয়ে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে একটি সূরা নাজিল করেছেন যা, ৭৫ নং সূরা (আল-কিয়ামাহ/আয়াত-২১--২৯)
২/ পূনঃঊত্থাণ দিনেই দেহে যখন আত্মা পুনঃ সংযোজিত হবে (সূরা,আত-তাকবীর/আয়াত৭)
৩/মৃত্যুর পর মানুষ কবরে থাকবে ঘুমন্ত অবস্থায়।
এবং কবর বাসীরা বলবে হায়! দুর্ভোগ আমাদের! কে আমাদেরকে নিদ্রা স্থল থেকে উঠাইলো? দয়াময় আল্লাহ ইহার'ই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং রসূলগন সত্যই বলেছিলেন (সূরা,ইয়াসিন/আয়াত-৫২).
৪/ আর যখন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে,তখনই তাহারা কবর হইতে ছুটিয়া আসবে আল্লাহর দিকে।
(সূরা,ইয়াসিন -৫১).
৫/আর শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে, সেদিন'ই শাস্তির দিন। (সূরা,ক্বাফ/আয়াত-২০)।
৬/তোমরা কিরুপে আল্লাহকে অস্বীকার করো? অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, তিনি তোমাদেরকে জীবন্ত করেছেন, আবার তোমাদের মৃত্যু ঘটাইবেন ও পূনরায় জীবন্ত করিবেন,পরিনামে তাহার দিকেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে। (সূরা,বাকারাহ-২৮)।
৭/(ক)-মানুষ ছিলো প্রনহীন,(বীর্য রুপে), অর্থাৎ(মৃত-১)।
(খ)-পৃথিবীতে মানুষ প্রথম জন্মগ্রহণ করে অর্থাৎ (জন্ম-১)
(গ)-পৃথিবীতে কিছু কাল বিচরণ করে আবার মৃত্যু বরন করে, (মৃত-২)
(ঘ) কিয়ামত দিবসে যেদিন দেহে আত্মা পুনঃ সংযোজন হবে,অর্থাৎ আবার জন্ম(জন্ম-২)
(সূরা,আল-মুমিন/আয়াত-১১)
এভাবেই আমরা কোরআন থাকে দূ'বার জন্ম,ও দু'বার মৃত্যু পেয়ে গেলাম। এখন কবরের আজাব হতে হলে জীবিত হয়ে যাবে ৩ বার। যেহাতু পূনঃঊত্থান দিবসে একবার প্রান সংযোগের কথা আছে, ( ৮১ঃ৭) এ আয়াতের সাংঘর্ষিক তো হতেই পারেনা।
সবই তো আছে, কিন্তু কবর আযাব তো দেখা গেল না! এটা তো আমি ও ভেবে পাই না! কোরান বলে, মৃত্যর সময় রসুল ফেরেস্তারা এসে জান বের করে নিয়ে আল্লাহর সমীপে হাজির করবে, সেখানে মৃত্যের আত্মাকে সম্ভাষন জানানো হবে, অতপর আল্লাহ তার সাথে কথোপোকথন করবে, এবং তাকে ইল্লিন বা সিজ্জীন এ রাখা হবে, এর মধ্যে তো কবর আযাব দেখা গেল না! মুনকার নকীর, সোয়াল জবাব, এ সব তো কিছুই পওয়া গেল না! যে গল্প আমরা শুনলাম কবর আযাব, সেটা কোথায়!
সুতরাং করবের আজাব কোরআন দারা প্রমাণ হয়না ৷ তাছড়া কেয়ামত দিবসের আগে কোন আজাব নেই পবিত্র কুরআনে বলা আছে ৷
যাহার আমলনামা তাহার বামহস্তে দেওয়া হইবে, সে বলিবে, 'হায়! আমাকে যদি দেওয়াই না হইত আমার আমলনামা, এবং আমি যদি না জানিতাম আমার হিসাব! 'হায়! আমার মৃত্যুই যদি আমার শেষ হইত! (৬৯ নম্বর সুরা হাককা আয়াত নম্বর ২৫,২৬,২৭)।
৩৬ নম্বর সুরা ইয়াসিন এর ৪৬ হতে ৫০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত মন্দ লোকের পরিনতির কথা বলতে বলতে ,৫১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন- "যখন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে তখন তাহারা কবর হইতে ছুটিয়া আসিবে তাহাদের প্রতিপালকের দিকে।
"৫২ নম্বর আয়াতে বলেছেন " উহারা বলিবে, 'হায়! দর্ভোগ আমাদের! কে আমাদিগকে আমাদের নিদ্রাস্থল হইতে উঠাইল? দয়াময় আল্লাহতো ইহারই প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন এবং রাসুলগন সত্যই বলিয়াছিলেন।
"১০২ নম্বর সুরা তাকাছুর এর ১ ও ২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে " প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদিগকে মোহাচ্ছন্ন করিয়া রাখে, যতক্ষন না তোমরা কবরে উপনীত হও।
" সুরা হাককার ২৭ নম্বর আয়াত হতে প্রতীয়মান হয় মৃত্যুর পর হতে পুনরুত্থান পর্যন্ত কোন উপদ্রব নেই। সুরা ইয়াসিনের ৫২ নম্বর আয়াত হতে স্পষ্ট হয় যে মন্দ লোকও কবরে ঘুমিয়ে থাকবে। সুরা তাকাছুরে "কবর" শব্দটি জীবনের পরিসমাপ্তি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ।
সূরা মুমিনুন ২৩:৯৯-১০০ আয়াতে বলা হয়েছে,
"যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে, 'হে আমার পালনকর্তা! আমাকে পুনরায় দুনিয়াতে প্রেরণ করুন, যাতে আমি সেসব সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি করিনি।' কখনোই নয়! এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা (বারযাখ) আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত।"
৪০ নম্বর সুরা মুমিনুন এর ৪৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন "সকালে ও সন্ধ্যায় তাদেরকে আগুনের সামনে পেশ করা হয় এবং যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন আদেশ করা হবে, ফেরাউন গোত্রকে কঠিনতর আযাবে দাখিল কর।"
পবিত্র কোরানে একথা আমার চোখে পড়েনি যে, মৃত্যুর সময় রুহ্ কবচ্ করার পর পুনরুত্থান দিবস ছাড়া তা আর কখনো (কবরে প্রশ্নোত্তরের জন্য, আযাবের জন্য) মানব দেহে রুহ্ ফুঁকে দেয়া হবে। দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ অক্ষত থাকে না, বিমান ক্রাশ ও লঞ্চডুবির মত ঘটনায় মৃতদের কবরই হয় না।
এমতাবস্থায় "কবর আযাব" বিষয়টি কোরানে না থাকায় তা সত্য নয়। কবরে প্রশ্নোত্তরের কাহিনীও মিথ্যা।।
কোরানে উল্লেখ না থাকায় কবর আযাবের ভয় দেখানোর কোন সুযোগ নেই। এতে বিশ্বাসটাই পাল্টে যায়। বিশ্বাসের সাথে জীবনের সব কিছুই সম্পৃক্ত। বিশ্বাসই ভিত্তি। বোখারীর বইয়ে কবর আযাবের অন্যতম প্রধান কারণ বলা হয়েছে 'কাপড়ে প্রস্রাব লাগা'! কী তামাশা
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
'কবর আযাব'-এ বিশ্বাসের সাথে আরো যা বিশ্বাস করতে হয়:-
মিথ্যা জিনিষকে ভয় করতে হলে আগে বিশ্বাস করতে হয়। "কবর আযাব" বিশ্বাসের মধ্যে কি কি বিশ্বাস করা লাগে দেখুন:-
(১) কবরে মৃতের দেহে প্রাণ ফিরে আসে!
(২) তাকে ফেরেস্তারা প্রশ্ন করেন! যদি প্রশ্ন আগেই ফাঁস হয়েছে!!
(৩) রাসুল মুহাম্মদ সঃ গায়েবী কন্ঠে জান্নাত বা জাহান্নামের সাথে ঐ কবরের সংযোগ করে দেয়ার নির্দেশ দেন!!
(৪) '৩' অনুসারে বিশ্বাস করতে হয় রাসুল মুহাম্মদ সঃ জীবিত আছেন, বিশ্বাস করতে হয় এই পর্যায়ে জান্নাত-জাহান্নাম বন্টনে রাসুলের কর্তৃত্ব আছে!
অথচ আল্লাহ্ রাসুল (স) কে উদ্দেশ্য করেই আল্লাহ ওহি নাযিল করেন,"(হে নবী!) চূড়ান্ত ফায়সালা করার ক্ষমতায় তোমার কোন অংশ নেই। এটা আল্লাহর ক্ষমতা-এখতিয়ারভুক্ত, তিনি চাইলে তাদের মাফ করে দেবেন। আবার চাইলে তাদের শাস্তি দেবেন। কারণ তারা জালেম" (৩:১২৮)।
সুরা মমিনুল আয়াত ১০০
সুরা আনআম ৬১_৬২
সুরা মুহম্মাদ আয়াত _২৮
সুরা নাযেয়াত আয়াত নং _১
সুরা মতাফিফিন ৭-২২ আয়াত গুলো দেখে নেয়া যেতে পারে।
নিশ্চয় যারা বলে আমাদের রব আল্লাহ্। অতঃপর অটল থাকে তাদের উপরে।মালাইকা নাযীল হয়। এবং তাঁরা বলে তোমরা ভয় করনা। এবং চিন্তা করিয় না, এবং তোমরা শুনে খুশি হও। সূরা ফুসসিলাত আয়াত,৩০।
মুসলিমদের জন্য। এই আয়াত।
মালাইকরা যখন মৃত্যু ঘটায় উত্তম অবস্থায়।তখন তাঁরা বলে সালামুন আলাইকুম, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর।যেই আমল করতে তাঁর কারণে, সূরা নাহল আয়াত,৩২!
তাঁরা বেশি বেশি মিথ্যা শ্রবণকারী। সূরা মায়েদার আয়াত,৪২!
এই আয়াত মিথ্যা রচনা কারী দের জন্য।
(আল্লাহ্ বলেন)
হায় যদি তুমি দেখতে যালিমদের ঐ সময়ের অবস্থা মৃত্যুর যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকবে। আর মালাইকরা হাত বাড়িয়ে বলবে নিজের জান বাহির কর আজ তোমাদের প্রতিদান দেওয়া হবে, লাঞ্ছনাকর আযাব দেওয়া হবে,যে হুতু তোমরা আল্লাহর সম্পর্কে এমন কথা বলতে যা প্রকৃত সত্য ছিল না এবং তোমরা তাঁর আয়াত গুলিকে মানতে অহংকার করতে। সূরা আরাফ আয়াত,৯৩!
মুশরিক এবং মিথ্যা রচনা কারীদের, পরিনতি। এমন হবে মৃত্যুর সময়। আর মুসলিম তুমি ,সালাম পাবে, কবরের আযাব দূরের কথা।।
কবরের আযাবের কথা কোরানে কোন স্থানে আছে কি ?
উত্তর: কবরবাসীদের (অর্থাৎ মৃতদের) কেয়ামতের আগে সাধারণ ঘুমের অবস্থায় থাকার কথা বলা হয়েছে:
তথ্যসূত্র:
সূরাঃ ৩৬. ইয়াসীন, আয়াত নং- ৫১ -৫৪
৫১. আর যখন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে তখনই তারা কবর থেকে ছুটে আসবে তাদের রবের দিকে।
৫২. তারা বলবে, হায়! দুর্ভোগ আমাদের! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠাল? দয়াময় আল্লাহ্ তো এরই প্ৰতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্যই বলেছিলেন।
৫৩. এটা হবে শুধু এক বিকট শব্দ; তখনই এদের সকলকে উপস্থিত করা হবে আমাদের সামনে,
৫৪. অতঃপর আজ কারো প্রতি কোন যুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করতে শুধু তারই প্রতিফল দেয়া হবে।
######################################