Skip to main content

আল কোরানের মতে আরবরা কি বা তারা কেমন, আসুন তা এক ঝলক জেনে নেয়া যাক!!

 আল-আরাবু মানে আরবগণ; বেদুঈন নয় আরবগণের চিরস্থায়ী কপটতা থেকে সাবধান!

আরবরা কুফর ও মোনাফেকীতে অত্যন্ত কঠোর হয়ে থাকে এবং এরা সেসব নীতি-কানুন না শেখারই যোগ্য যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসূলের উপর নাযিল করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ সব কিছুই জানেন এবং তিনি অত্যন্ত কুশলী। সুরা তওবা আয়াত নং ৯৭ 


১. ভুমিকাঃ

২. কুরআনে নিন্দিত আরবগণ  কীভাবে শুধুমাত্র   বেদুঈন হয়ে গেল?

৩.  বেদুঈন  ও   মরুবাসী বুঝানোর জন্য কুরআনে আলাদা শব্দ আছে

৪. আরবগণ সম্পর্কিত ১০ টি আয়াতের সার সংক্ষেপ

৫. উপসংহার

ভুমিকাঃ- মসজিদের মিম্বর, ওয়াজের জলসা বা মাহফিল, ইসলামী আন্দোলনের মঞ্চ আর তথাকথিত পীর-মুজাদ্দেদের দরবার থেকে আমজনতা কখন ও কী এইজাতীয় বক্তব্য শুনতে পেয়েছেযে,-

ক. আরবজাতি কুফুরী ও মুনাফিকীতে বড়ই কঠোর ও সিদ্ধহস্ত

খ. আরবজাতি অজ্ঞ থাকতেই বদ্ধপরিকর

গ. আরবগণ বড়ই মিথ্যাবাদী,আর

ঘ. আরবজাতি অলস,কর্মবিমুখইত্যাদি 

সবগুলো প্রশ্নের সাধারণ উত্তর হবে- না। অথচ এগুলো কুরআনে আরবজাতি সম্পর্কে আল্লাহর সুস্পষ্ট সাধারণ ঘোষণা। আল্লাহ যেমন এটিকে রাখ ঢাক না করে খোলাসা করেছেন,আমাদেরকে এটি জনসম্মুখে বলতে হবে; এর আলোচনা হতে হবে। এগুলো পরনিন্দা, পরচর্চা বা গীবত নয়।

এই আলোচনা এ জন্যে হতে হবে যে, আরবজাতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ মানবজাতির উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেয়াটা আল্লাহ জরুরী মনে করে কুরআনের আয়াত করেছেন। সেই জাতি থেকে পৃথিবীর পুরো মুসলিম উম্মাহ এবং অন্যান্য জাতি যেন প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে, তাই মানবজাতির বৃহত্তর কল্যানে শেষ নবীকে যে জাতির কাছে পাঠিয়েছেন, তাদের আসল চেহারাটা ফাঁস করে দিয়েছেন।

কুরআনে আরবজাতির কথা বলতে গিয়ে আরব শব্দের বহুবচন  আরাবু– এর ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায় ১০ বার। এর মধ্যে সূরা তওবার দুটি আয়াতে    আল-আরাবু-এর সাথে আলাদা ভাবে মদীনা বাসীদের কথা বলা হয়েছে। ১০১ নং আয়াতে উভয় দলের মধ্য থেকে মুনাফিকীতে সিদ্ধ হস্তলোক রয়েছে বলে জানানো হয়। অর্থাৎ এখানে আল-আরাবু বলতে মক্কার আরবগণকেই বোঝানো হয়েছে।

[৯:১০১] আর আরবদের মধ্যের যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের মধ্যে রয়েছে মুনাফিকরা, আবার মদীনার বাসিন্দাদের মধ্যে ও- ওরা কপটতায় নাছোড় বান্দা। 

[৯১২০] মদীনার বাসিন্দাদের ও তাদের আশপাশের আরবগণের জন্যে নয় যে তারা আল্লাহ্ রসূলের পিছনে থেকে যাবে, এবং নিজেদের জীবনকে তাঁর জীবনের চেয়ে বেশি প্রিয় মনে করা ও নয়। 

শেষ নবী নিজে একজন আরব এবং তাঁর কাছে যে কুরআন নাযিল হয়েছে তা তাঁর নিজ আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে   সে সংক্রান্ত বিবৃতি বহু। শেষ নবীর আরব জাতিসত্তাকে বোঝাতে কুরআনে ব্যবহৃত আরাবিয়্যু -এর অনুবাদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন লিখেছে, “অথচ রাসূল আরবীয়। 

আমি যদি  আজমী ভাষায় কুরাআন অবতীর্ণ করিতাম তবে উহারা অবশ্যই বলিত, ‘ইহার আয়াতগুলি বিশদভাবে বিবৃত হয় নাই কেন? কি আশ্চর্যযে, ইহার ভাষা আজমী,অথচ রাসূল আরবীয়! -৪১:৪৪ (ইফা)

কুরআনান আরাবিয়্যা (قُرْآَنًاعَرَبِيًّا)

তেমনি ভাবে আরবী কুরআন বা আরবী ভাষায় কুরআন বলতে কুরআনে কুরআনান আরাবিয়্যা (قُرْآَنًاعَرَبِيًّا)” ব্যবহার করা হয়েছে বহু জায়গায়। কোথা ও এটাকে ‘হুকমান আরাবিয়্যা বা  লিসানুন আরাবিয়্যু ও বলা হয়েছে।

নিঃসন্দেহ আমরা এটি অবতারণ করেছি-আরবী কুরআন,যেন তোমরা বুঝতে পার। -১২:২

আর এইভাবে আমরা এটি অবতারণ করেছি- একটি হুকুম আরবীতে। - ১৩:৩৭

আর আমরা অবশ্যই জানি যে তারা বলে নিঃসন্দেহ তাঁকে তো কোনো এক মানুষ শেখায়। ওরা যার প্রতি ইঙ্গিত করে তার ভাষা ভিন্নদেশীয়,অথচ এটি পরিস্কার আরবীভাষা। -১৬:১০৩ا

আর এই ভাবেই আমরা এটি অবতারণ করেছি- একখানি আরবী কুরআন, আর তাতে বিশদভাবে বিবৃত করেছি সতর্কবাণী-  গুলো থেকে যেন তারা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করে, অথবা এটি যেন গুণকীর্তনে তাদের উপদেশ দান করে। -২০:১১৩ সুস্পষ্টআরবীভাষায়। -২৬:১৯৫

আরবী কুরআন, কোনো জটিলতা বিহীন, যেন তারা ধর্মভীরুতা অবলন্বন করতে পারে। -৩৯:২৮     

একটি গ্রন্থ যার আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত, আরবী কুরআন সেই লোকদের জন্য যারা জানে।–৪১:৩

আর এই ভাবে আমরা তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ দিয়েছি এই ভাষণ আরবীতে যেন তুমি নগর-জননী ও তার আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের সতর্ক করতে পার, আর যেন তুমি সতর্ক করতে পার জমায়েৎ হওয়ার দিন সম্পর্কে-  যাতে কোনো সন্দেহ নেই। -৪২:৭

নিঃসন্দেহ আমরা এটিকে এক আরবী ভাষণ করেছি যেন তোমরা বুঝতে পারো। - ৪৩সূরাযুখরুফ: আয়াত০৩ 

আর এর আগে ছিল মুসারগ্রন্থ- অগ্রদূত ও করুণাস্বরূপ। আর এখানা হচ্ছে সত্য সমর্থনকারী কিতাব, আরবী ভাষায়, যেন এটি সতর্ক করতে পারে তাদের যারা অন্যায়াচরণ করছে, এবং সৎকর্মশীলদের জন্য হতে পারে সুসংবাদ স্বরূপ। -৪৬:১২

আরাবিয়্যুন-এর অর্থ আরবী এবং কুরআনান আরাবিয়্যুন মানে আরবী কুরআন–এটা লিখতে কোন অনুবাদকই কোন রকম কার্পণ্য করেন নি।কিন্তু এর বহুবচনে যখন আল-আরাবু ব্যবহার করা হয়েছে তখনই কোন যাদু বলে তা আরবগণ না হয়ে কীভাবে যেন বেদুঈন আর মরুবাসী হয়ে গেল। কুরআনে নিন্দিত আরবগণ কীভাবে শুধুমাত্র বেদুঈন হয়ে গেল?বিদ্যমান অলীক ও ভ্রান্ত বাস্তবতাঃ কুরআনের পাঠকগণ, বাংলা কিংবা ইংরেজী কোথাও আরাবুর সঠিক অর্থ দেখতে পাবেন না। এখানে বিকৃতি অনেক ব্যাপক ও অতি পুরানো। অভিধানেই এই অর্থকে অনেক ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছে; একটা ধোয়াশা তৈরি করা হয়েছে। কুরআনের যে দশটি জায়গায় আল-আরাবু ব্যবহার করা হয়েছে, অনুবাদকগণ সেখানে আরবগণ না লিখে অর্থ করেছেন ‘গ্রাম্য বেদুঈন, ‘মরুবাসী, ‘যাযাবর এবং ইংরেজীতে The Bedouin, Wandering Arabs, Dwellers of the Desert ইত্যাদি। আরবগণের অর্থ বরাবরই অতি ধূর্ত আরবগণের পরিবর্তে বেদুঈনদের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আর অনুবাদকারীগণের সাথে যেন আরব সম্প্রদায়ের কোন এক অলিখিত গোপন চুক্তি সম্পন্ন হয়ে আছে যে, যার বদৌলতে তারা এর অর্থ আরবগণের দিকে না দিয়ে মরুবাসী বা বেদুঈনদের দিকেই নিয়ে যায়। যে আরব জাতির ব্যাপক নিন্দা করা হয়েছে, তাদেরকে আল্লাহর লেপনকৃত কালিমা থেকে বাচাতে পারলেই যেন এক মহাকল্যাণের কাজ সম্পন্ন হয়। কুরআন অনুবাদের ক্ষেত্রে উপরি উক্ত ভুলটি শুধুমাত্র ইসলামিক ফাউন্ডেশনের না;বাংলা, ইংরেজীসহ প্রায় সকল অনুবাদকগণই এই ঐতিহাসিক গলদটিকে এড়াতে পারেননি। ইফা এ সংক্রান্ত প্রতিটি অনুবাদেই আরবগণ না লিখে মরুবাসী হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে। মরুবাসী বললে আরবদের ঘাড় থেকে অনেকটাই দোষস্খালনের সুযোগ থেকে যায়। শুধুমাত্র সূরা হুজুরাতের ১৪নং আয়াতের অর্থ করতে গিয়ে ইফা ‘বেদুঈন লিখেছে। যুক্তি দেখানো যেতে পারে মরুর অধিবাসীরা তো আরবজাতিই- সেক্ষেত্রে পাল্টা যুক্তি ও আছে। যদি তাই হয় তাহলে সরাসরি আরাবু অর্থ আরবজাতি বলতে আর সমস্যা কোথায়? কুরআন বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়ে ছড়িয়ে পড়বার প্রাক্কালেই আরবজাতি এই ভুলটিকে চারিদিকে সম্ভবত ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়িয়ে দিয়ে ছিল এক সুগভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে। তারা নিজেদের কাধে এত এত বদনামের বোঝা নিতে চায়নি। তারা সকল অপবাদ আর দোষ তাদেরই মধ্যে বসবাসকারী বেদুঈন, যাযাবর শ্রেণীদের উপর চাপিয়ে স্বয়ং আল্লাহকর্তৃক উদ্ঘাটিত এবং কুরআনের আয়াত হিসেবে নাযিলকৃত নিজেদের কুৎসিত চেহারাটিকে পৃথিবীবাসী থেকে ঢেকে দিতে চেয়েছিল। অথচ দশটি আয়াতের মধ্যে একটি আয়াতে তাদের গুণকীর্তন ও করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন ঝুঁকিই নিতে চায় নি। তারা চিন্তা করেছে - প্রশংসা দরকার নেই,আগে অপবাদের বিপদ থেকে বাঁচি- তাই প্রশংসাকে কুরবানী দিয়ে নিন্দার কাঁটা থেকে বাচার মনো বৃত্তি থেকে আরবগণ একে বারে গোড়াতেই এর অর্থ পাল্টে ফেলেছে।

অভিধান কী বলে?

আরাবিয়্যু বা আরাবিয়্যা মানে আরবীয়; আরব দেশের বাসিন্দা; আরবী । ইংরেজী অভিধানে সংক্ষেপে দেয়া আছে Desert Arabs।সূত্রঃARABIC-ENGLISH: DICTIONARY OF QUR’ANIC USAGE

“আল্লামা রাগিম ইস্পাহানী আল মুফরাদাতুল কুরআনে লিখেছেন- হযরত ইসমাইল (আ)-এর বংশধরকে আরাবুন বলা হয়।শব্দটি এক বচন।বহুবচনে- আরাবু

কাজী শওকানী তাফসীরে ফাতহুল কাদীরে সূরা তওবায় লিখেছেন, যারা মুরুভূমিতে বসবাস করে তাদেরকে আরাবু বলা হয়। আরবের বালুকাময় ভূমিতে যারা বসবাস করেন তাদের সবাই আরাবুন। চাই তারা শহরে বসবাস করুন কিংবা গ্রামে অথবা মরুএলাকায়।“ (সূত্রঃআলকুর আনের অভিধান; বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার) 

আশ্চর্যের বিষয় হল,উপরি উক্ত ব্যাখ্যাদানের পর ও উক্ত অভিধানের শুরুতে লেখা হয়েছে -আরবু মানে গ্রাম্য; বেদুঈন; যাযাবর।‘বেদুঈন ও মরুবাসী বুঝানোর জন্য কুরআনে আলাদা শব্দ আছে

অনুবাদকগণ আল-আরাবু-এর অর্থ বেদুঈন করেছেন,অথচ কুরআনে সুস্পষ্ট আয়াত রয়েছে যেখানে  আল-আরাবু-এর সাথে যুক্ত করেই বাদিউন বা বেদুঈন-এর প্রয়োগ রয়েছে (৩৩:২০)। 

আবার অন্যত্র গ্রাম্য জীবন বা জঙ্গল, বন-বনানী বুঝাতে ও বাদউন -এর ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায় (১২:১০০)।

তবে তারা কামনা করবে যে,যদি তারা বেদুঈন আরবগণের মধ্য থেকে তোমাদের সংবাদাত জেনে নিত। -৩৩:২০

লক্ষ্যনীয় যে, এখানে আরাবু- এর পূর্বে একটা অতিরিক্ত বা দুনা ব্যবহার করে বলা হয়েছে বা দুনা ফিল আরাবি  (بَادُونَفِيالْأَعْرَابِ)’ – যার মানে ‘আরবগণের মধ্যের বেদুঈন বা যাযাবর। এখানে বা দুনা অর্থ বেদুঈন। এখান থেকে অত্যন্ত স্পষ্ট যে যেখানে বেদুঈনদের আলাদা করে বুঝানোর প্রয়োজন হয়েছে সেখানে সেটা করা হয়েছে । তাই আরাবু-এর অর্থ বেদুঈন বলে চালিয়ে দেবার কোন সুযোগ নেই।‘বাদউন দ্বারা গ্রাম্য বা মরু অঞ্চল ও বুঝায়

হযরত ইউসূফ তাঁর মহান পিতা হযরত ইয়াকুবকে উদ্দেশ্য করে বলেন-আর তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলেন যখন তিনি আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে ছিলেন, এবং মরুভূমি বা গ্রাম থেকে (brought you all from the village /the bedouin life) আপনাদের নিয়ে এসেছেন আমার মধ্যে ও আমার ভাইয়ের মধ্যে শয়তান বিরোধ বাধাবার পরে। -১২:১০০

মরুবাসী বা মরুচারী আবার অন্য দিকে মরুবাসী বুঝানোর জন্য আলাদা শব্দ মুকবীন- এর ব্যবহার ও দেখতে পাওয়া যায়।আমরাই তাকে বানিয়েছি এক নিদর্শন সামগ্রী এবং মরুচারীদের জন্য এক প্রয়োজন সামগ্রী।৫৬:৭৩

আরবগণ সম্পর্কিত ১০টি আয়াতের সার সংক্ষেপ । আরবগণের স্বভাব-চরিত্রের কথা বলতে গিয়ে যে ১০টি তাৎপর্যপূর্ণ আয়াত আল্লাহ ব্যবহার করেছেন অতি সংক্ষেপে সেই চরিত্র চিত্রন গুলো দেখে নেয়া যাক

[9:90] আর ছলনাকারী আরব লোকেরা এলো, যাতে তাদের অব্যাহতি লাভ হতে পারে এবং নিবৃত্ত থাকতে পারে তাদেরই যারা আল্লাহ ও রসূলের সাথে মিথ্যা বলে ছিল। এবার তাদের উপর শীগ্রই আসবে বেদনাদায়ক আযাব যারা কাফের।

[9:97] আরবরা কুফর ও মোনাফেকীতে অত্যন্ত কঠোর হয়ে থাকে এবং এরা সেসব নীতি-কানুন না শেখারই যোগ্য যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসূলের উপর নাযিল করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ সব কিছুই জানেন এবং তিনি অত্যন্ত কুশলী। 

[9:98] আবার কোন কোন আরববাসী  এমন ও রয়েছে যারা নিজেদের ব্যয় করাকে জরিমানা। বলে গন্য করে এবং তোমার উপর কোন দুর্দিন আসে কিনা সে অপেক্ষায় থাকে। তাদেরই উপর দুর্দিন আসুক। আর আল্লাহ হচ্ছেন শ্রবণকারী, পরিজ্ঞাত।

[9:99] আর কোন কোন আরববাসী হল তারা, যারা ঈমান আনে আল্লাহর উপর, কেয়ামত দিনের উপর এবং নিজেদের ব্যয়কে আল্লাহর নৈকট্য এবং রসূলের দোয়া লাভের উপায় বলে গণ্য করে। জেনো! তাই হল তাদের ক্ষেত্রে নৈকট্য। আল্লাহ তাদেরকে নিজের রহমতের অন্তর্ভূক্ত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়।

[9:101]  আরববাসীদের মধ্যে  যারা তোমার আশ-পাশে আছে  তাদের কেহ কেহ মুনাফেক এবং কিছু লোক মদীনাবাসী কঠোর মুনাফেকীতে অনঢ়। তুমি তাদের জান না; আমি তাদের জানি। আমি তাদেরকে আযাব দান করব দু’বার, তারপর তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে মহান আযাবের দিকে।

[9:120] মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী আরববাসীদের উচিত নয় রাসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলের প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা। এটি এজন্য যে, আল্লাহর পথে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা তাদের স্পর্শ করে এবং তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফেরদের মনে ক্রোধের কারণ হয় আর শত্রুদের পক্ষ থেকে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়-তার প্রত্যেকটির পরিবর্তে তাদের জন্য লিখিত হয়ে নেক আমল। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের হক নষ্ট করেন না।

[48:11] আরববাসীদের মধ্যে যারা গৃহে বসে রয়েছে, তারা আপনাকে বলবেঃ আমরা আমাদের ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। অতএব, আমাদের পাপ মার্জনা করান। তারা মুখে এমন কথা বলবে, যা তাদের অন্তরে নেই। বলুনঃ আল্লাহ তোমাদের ক্ষতি অথবা উপকার সাধনের ইচ্ছা করলে কে তাকে বিরত রাখতে পারে? বরং তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয় পরিপূর্ণ জ্ঞাত।

[48:16] গৃহে অবস্থানকারী আরববাসীদেরকে বলে দিনঃ আগামীতে তোমরা এক প্রবল পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে আহুত হবে। তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়ে যায়। তখন যদি তোমরা নির্দেশ পালন কর, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর যদি পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর যেমন ইতিপূর্বে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছ, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দিবেন।

[49:14] আরববাসীরা বলেঃ আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। বলুনঃ তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করনি; বরং বল, আমরা বশ্যতা স্বীকার করেছি। এখনও তোমাদের অন্তরে বিশ্বাস জন্মেনি। যদি তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর, তবে তোমাদের কর্ম বিন্দুমাত্রও নিস্ফল করা হবে না। নিশ্চয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।

[33:20] তারা মনে করে শক্রবাহিনী চলে যায়নি। যদি শক্রবাহিনী আবার এসে পড়ে, তবে তারা কামনা করবে যে, যদি তারা গ্রামবাসীদের মধ্য থেকে তোমাদের সংবাদাদি জেনে নিত, তবেই ভাল হত। তারা তোমাদের মধ্যে অবস্থান করলেও যুদ্ধ সামান্যই করত।


Popular posts from this blog

-ঃআল-কুরআনুল করীমঃ-

বিস‌মিল্লা‌হির রহমনুর রহিম -ঃআল-কুরআনুল করীমঃ- ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বাংলা তরজমা ও সম্পাদনাঃ- শামসুল ‘উলামা বেলায়েত হোসেন  মাওলানা আবদুর রহমান কাশগরী  মুহম্মদ মাহমূদ মুস্তফা শা'বান  শামসুল উলামা মুহম্মদ আমীন 'আব্বাসী  ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্  প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ অধ্যক্ষ এ.এইচ. এম. আবদুল কুদ্দুস  মাওলানা মীর আবদুস সালাম অধ্যাপক শাহেদ আলী মাওলানা ফজলুল করীম  এ.এফ.এম. আবদুল হক ফরিদী  আহমদ হুসাইন  মাওলানা আলাউদ্দীন আল-আজহারী  মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ্  হাফেজ মঈনুল ইসলাম আবুল হাশিম -ঃ৩য়সংস্করণের সম্পাদকমণ্ডলীঃ- ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ জনাব আ.ফ.ম. আবদুল হক ফরিদী ডক্টর এ.কে.এম. আইউব আলী  ডক্টর মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ডক্টর এম. শমশের আলী জনাব দাউদ-উজ-জামান চৌধুরী জনাব আহমদ হুসাইন জনাব মাওলানা আতাউর রহমান খান জনাব মাওলানা ওবায়দুল হক জনাব আ.ত.ম. মুছলেহ্ উদ্দীন জনাব মোহাম্মদ ফেরদাউস খান জনাব মাওলানা রিজাউল করীম ইসলামাবাদী জনাব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ জনাব এ.এফ.এম. আবদুর রহমান অধ্যাপক শাহেদ আলী  মুফতী মুহাম্মদ

Whey The Government Sector Are So Poor !

Add caption Whey The Government Sector Are So Poor ! ভাল ছাত্ররা কেন পুুলিশ বা আর্মীতে চাকুরী পায়না !! কথা সত্য ! স্কুলের প্রথম ব্রেঞ্চের ছাত্ররা খুব কমই সরকারী চাকুরী পায় !! কেননা মেধার জোর থাকলেও তাদের শুপারিশের জোর থাকেনা ! তাইতো সরকারী সেক্টরে তাদের চাকুরীও হয়না ! হলেও হয় কোন প্রায়ভেট ফোর্মে অথবা প্রবসে ! আর পুলিশের চাকুরী হয় সব সময় পেছনের ব্রেঞ্চের ছাত্রের ! কারন ওদের মেধা না থাকলেও খুটির জোর আছে !! তাছাড়া ও যখন পুলিশের চাকুরী হয় তখন ভাল ছাত্র, মেধাবীরা পড়া লেখায় ব্যস্ত থাকে, নিজেকে বিকশিত করে, আগামীতে বড় কোন অফিসার হবার !! কিন্তু ! তাদের পড়ালেখা যখন শেষ, তখন পুলিশের কোটাও শেষ ! আর্মি এর কোটা শেষ ! সরকারী চাকরীর কোটাতো রিজাভ আছে, কোন নেতা, বড় বাবু, তথা , এলিট বা ধনীক মহাশয়ের অযোগ্য পুত্র বা নাতি বা ভাতিজা অথবা ভাগ্নী ইত্যাদির জন্য ! তাইতো মেধাবী মধ্যবিত্ত ছেলেটির আর সরকারী দপ্তরে আসা হয়না ! যেতে হয় প্রায়ভেট ফোর্মে ! ফলা ফল প্রায়ভেট সেক্টর লাভ করলেও সরকারী সেক্টর সবসময় লোকসান গুনতেই থাকে !! কেননা মেধা তো মেধাই তাইনা !! প্রত্যেকটা সেক্টরের ‍দিকে তাকান, সম অবস্তা দেখবেন !

বিষয় : নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি   এই সেই ধর্ষক  "ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষকই"   ধর্ষকের কোন দল নাই..  সে কারো আত্মীয় নয়  কারো ভাই বা সন্তন নয় তার একটাই পরিচয় ; সে ধর্ষক !! তাই আমি চাই; ধর্ষনকারীর কঠিন  শাস্তি হোক. . আমি সামগ্রিক ভাবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ্য ও কঠিন শাস্তি দাবী করছি। অন্যদিকে দুঃখজনক ভাবে এই ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস্রতায় রুপ প্রদানে ব্যস্ত মাহফুজ আনাম, ডেইলিস্টার, প্রথম আলো, যুগান্তর সহ একটা পক্ষ!গৃহবধূর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা সত্য তবে এটার সাথে আ'লীগের ভোট দেওয়া না দেওয়ার বিষয় জড়িত নয়। গৃহবধূর স্বামী জানান, রোববার দুপুরের দিকে তার স্ত্রী স্থানীয় ভোটকেন্দ্র চর জুবলীর ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান। তিনি ভোট দিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করে এবং উত্ত্যক্ত করে। তার স্ত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। এ অবস্থায় রুহুল আমিন ও তার লোকজন স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রোববার গভীর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল সন্ত্রাসী দরজা ভেঙ