Skip to main content

বিষয় : নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি

 এই সেই ধর্ষক


 "ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষকই"
 ধর্ষকের কোন দল নাই.. সে কারো আত্মীয় নয় কারো ভাই বা সন্তন নয়তার একটাই পরিচয় ;সে ধর্ষক !!তাই আমি চাই;ধর্ষনকারীর কঠিন  শাস্তি হোক..



আমি সামগ্রিক ভাবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ্য ও কঠিন শাস্তি দাবী করছি।
অন্যদিকে দুঃখজনক ভাবে এই ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস্রতায় রুপ প্রদানে ব্যস্ত মাহফুজ আনাম, ডেইলিস্টার, প্রথম আলো, যুগান্তর সহ একটা পক্ষ!গৃহবধূর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা সত্য তবে এটার সাথে আ'লীগের ভোট দেওয়া না দেওয়ার বিষয় জড়িত নয়। গৃহবধূর স্বামী জানান, রোববার দুপুরের দিকে তার স্ত্রী স্থানীয় ভোটকেন্দ্র চর জুবলীর ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান। তিনি ভোট দিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করে এবং উত্ত্যক্ত করে। তার স্ত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। এ অবস্থায় রুহুল আমিন ও তার লোকজন স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রোববার গভীর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল সন্ত্রাসী দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায় (সমকাল)।
পরবর্তীতে মূমূর্ষ অবস্থায় উনাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ! এ অবস্থায় যেখানে উক্ত পরিবারের পাশ্বে দাড়িয়ে তাকে কি ভাবে বাচানো এবং সুস্ত করা যায়, সেই  লক্ষে কাজ করার কথা ছিল, কিন্ত,  তা না  করে, তার সামনে দাড়িয়ে, তাকে আড়াল করে, কিছু স্বর্থান্বেশী মহল উক্ত মাতার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে তাকে লাশ বনিয়ে ফেলে,  এবং ঘটনাটিকে ব্যক্তি গত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসাবে রজনৈতিক রং লাগাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে ! যা কোন সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনা !
এখন আল্লার কাছে শোকর পূর্বক কথা হলো, সুবর্ণচরের ৪ সন্তানের ঐ মাতা  এখনো বেঁচে আছেন, এখন ঐ মাতা  নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।  উনি আগের চাইতে এখন অনেকটা সুস্থ আছেন।  সবাই   ঐ মায়ের জন্য দোয়া করবেন।  আমি সংগত কারনে ঐ মায়ের বর্তমান অবস্থার ছবিটা সংযক্ত করলামনা !! অথচ সম্পন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে  কিছু মানুষ / মহল তাকে মৃত বলে অপপ্রচার করে দো'আ, দুরুদ পাঠ করে তাকে জান্নাতবাসী করে দিয়েছেন ! আবার অতি উৎসাহী কিছু  মানুষ তাকে কবরও দিয়ে ফেলছে!! সেই কবরে তার দুটি অবুঝ শিশু কাঁদছে ! কি মর্মান্তিক ছবি !! ভাবতেই  কেমন ভয় করে !! জানিনা এদের মানুষ বলা কতটা সংগত হবে!! এরা  আবার ফেসবুকে পোস্ট করে মানুষের সহমর্মিতা অর্জন করছে। যারা এমন কুকর্ম করছে ধর্ষকদের সাথে তাদেরও শাস্তি দেওয়া দরকার। আমার মনে হয় এরাও উক্ত অপরাধের সম ভাগীদার !! আমরা যদি এ ভাবে অপরাধীদের রাজনীতির অভেদ্য ঝুলির মধে ঢুকাতে থাকি, তাহলে অপরাধীর বিচার হবে কি ভাবে !! অতীতে আমরা দেখেছি অপরাধী যদি এক বার কোন রাজনৈতিক দলের থলের মধ্যে ঢুকে যায়,তখন তার সকল অপকর্ম অটোমেটিক ভাবে 70% ভেনিস হয়ে যায়!! কেননা ঐ থলির প্রধান গুণই এটি !! আমরা এটা অতিতে বারবার দেখছি এ  থলির তেলেসমতিীর খেলা !! ২০০১ সালে  বি এন পি  যখন ক্ষমতায় আসে তখন সিরাজগন্জ উল্লাপাড়ায় বি এন পি জামাতের ক্যাডার রা নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে যখন পূনিমাকে তার মায়ের সামনে গন ধর্ষন করছিলো, তখনও দেখেছি আমরা মানবতার  বিপর্যয়।   ঐ সময়ও  সেদিনের ধর্ষককে রাজনীনিতির থলের মধ্যে ঢোকানের কারনে সে সময় পুলিশের কাছে মামলা করতে গেলে পুলিশ রাজনৈতিক চাপের কারনে ধর্ষনের মামলা নেয়নি ! পরে  লজ্জায় ঘৃণায় বাধ্য হয়ে আত্যহত্যা করে পূনিমা। ব্যাস কেল্লা ফতে!! ‍ বিশ্বজিৎ এর বেলায় একই ঘটনা ঘটেছে!! আর কতো ? আর কতো রাজনীতির দোহায়ের বলি হতে হবে ! এভাবেই চলতে থাকবো আমরা ! কি ন্তু কেন ?..... জি ..!  আপনাকেই  প্রশ্ন করছি ! কেন আমরা বার বার অপরাধীদের অপরাধ লুকাতে সহায়তা করবো !

নেতার হবে গাড়ী বাড়ী, 
নেত্রীদের গহনা শাড়ী, 
বড় নেতা পাবে বেশি,
ছোট নেতা সব পারাপার ! 
আমরা ছাগলের 03 নং বাচ্চার মতো 
মোদের লম্ফ ঝম্ফ বৃথা সার !! 

কেন ভাই!! কেন !!! তার চেয়ে আসুন না আমরা অপরাধীকে অপরাধী বলতে শিখি !  তাদের গায়ে হতে রাজনীর চাদর টা টেনে খুলতে শিখি! আরো শিখি,

অপরাধী কারো ছেলে নয়!
অপরাধী কারো ভাই নয় !
অপরাধী কারো আত্মীয় নয়!
অপরাধী, কোন রাজনৈতি পরিচয় নেই তার !
অপরাধী, সে কোন দলের নয় !
অপরাধী নয় কোন জাতি-ধর্মের!!
অপরাধীর পরিচয় শুধু সে অপরাধী!
 

আসুননা সকলে মিলে শধু এক বার, শধু এক বার চেষ্টা করি, দেখবেন কেমন করে সব কিছু বদলে যায় ! 






















Popular posts from this blog

-ঃআল-কুরআনুল করীমঃ-

বিস‌মিল্লা‌হির রহমনুর রহিম -ঃআল-কুরআনুল করীমঃ- ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বাংলা তরজমা ও সম্পাদনাঃ- শামসুল ‘উলামা বেলায়েত হোসেন  মাওলানা আবদুর রহমান কাশগরী  মুহম্মদ মাহমূদ মুস্তফা শা'বান  শামসুল উলামা মুহম্মদ আমীন 'আব্বাসী  ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্  প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ অধ্যক্ষ এ.এইচ. এম. আবদুল কুদ্দুস  মাওলানা মীর আবদুস সালাম অধ্যাপক শাহেদ আলী মাওলানা ফজলুল করীম  এ.এফ.এম. আবদুল হক ফরিদী  আহমদ হুসাইন  মাওলানা আলাউদ্দীন আল-আজহারী  মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ্  হাফেজ মঈনুল ইসলাম আবুল হাশিম -ঃ৩য়সংস্করণের সম্পাদকমণ্ডলীঃ- ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ জনাব আ.ফ.ম. আবদুল হক ফরিদী ডক্টর এ.কে.এম. আইউব আলী  ডক্টর মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ডক্টর এম. শমশের আলী জনাব দাউদ-উজ-জামান চৌধুরী জনাব আহমদ হুসাইন জনাব মাওলানা আতাউর রহমান খান জনাব মাওলানা ওবায়দুল হক জনাব আ.ত.ম. মুছলেহ্ উদ্দীন জনাব মোহাম্মদ ফেরদাউস খান জনাব মাওলানা রিজাউল করীম ইসলামাবাদী জনাব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ জনাব এ.এফ.এম. আবদুর রহমান অধ্যাপক শাহেদ আলী  মুফতী মুহাম্মদ

Whey The Government Sector Are So Poor !

Add caption Whey The Government Sector Are So Poor ! ভাল ছাত্ররা কেন পুুলিশ বা আর্মীতে চাকুরী পায়না !! কথা সত্য ! স্কুলের প্রথম ব্রেঞ্চের ছাত্ররা খুব কমই সরকারী চাকুরী পায় !! কেননা মেধার জোর থাকলেও তাদের শুপারিশের জোর থাকেনা ! তাইতো সরকারী সেক্টরে তাদের চাকুরীও হয়না ! হলেও হয় কোন প্রায়ভেট ফোর্মে অথবা প্রবসে ! আর পুলিশের চাকুরী হয় সব সময় পেছনের ব্রেঞ্চের ছাত্রের ! কারন ওদের মেধা না থাকলেও খুটির জোর আছে !! তাছাড়া ও যখন পুলিশের চাকুরী হয় তখন ভাল ছাত্র, মেধাবীরা পড়া লেখায় ব্যস্ত থাকে, নিজেকে বিকশিত করে, আগামীতে বড় কোন অফিসার হবার !! কিন্তু ! তাদের পড়ালেখা যখন শেষ, তখন পুলিশের কোটাও শেষ ! আর্মি এর কোটা শেষ ! সরকারী চাকরীর কোটাতো রিজাভ আছে, কোন নেতা, বড় বাবু, তথা , এলিট বা ধনীক মহাশয়ের অযোগ্য পুত্র বা নাতি বা ভাতিজা অথবা ভাগ্নী ইত্যাদির জন্য ! তাইতো মেধাবী মধ্যবিত্ত ছেলেটির আর সরকারী দপ্তরে আসা হয়না ! যেতে হয় প্রায়ভেট ফোর্মে ! ফলা ফল প্রায়ভেট সেক্টর লাভ করলেও সরকারী সেক্টর সবসময় লোকসান গুনতেই থাকে !! কেননা মেধা তো মেধাই তাইনা !! প্রত্যেকটা সেক্টরের ‍দিকে তাকান, সম অবস্তা দেখবেন !