Skip to main content

কোরানের আলোকে বিবাহ, সংসার ও তালাক এবং ভরন পোষনঃ-

 কোরানের আলোকে বিবাহ, সংসার ও তালাক এবং ভরন পোষনঃ-

ভূ‌মিকাঃ সং‌ক্ষে‌পে বল‌লে বিবাহ মূলত একটা চু‌ক্তি। এটা মূলত একজন নারী ও পুরু‌ষের মা‌ঝে সহমর্মীতা ও সহ‌যোগীতার ‌ভি‌ত্তি‌তে শর্ত স্বা‌পে‌ক্ষে সম্পা‌দিত হয়ে থা‌কে। 
য‌দিও আমাদের বাঙালি মুসলিদের বৈবাহিক জীবনটা হিন্দু ট্রাডিশন ফলো করে থাকে! আমাদের স্ত্রীগন যখন আমাদের সংসারে আসে তখন সে এটাকে আমৃত্যু ধ্যান জ্ঞান মনে করে নেয়! এসেই তারা স্বামীর নামটা নিজের নামের সাথে জুড়ে নেয়! ঘরের খাট পালঙ্কের মত নিজেও একদম ফিক্সড হয়ে যায়। আর পতিকে, পতিঈশ্বর ভেবে পরমভক্তি দেওয়া শুরু করে দেয় ! কিন্তু ইসলাম একজন স্ত্রীকে এতোটা অসহায়ত্বের মধ্যে ফেলে দেয়না! এখানে বিবাহ একটা চুক্তি মাত্র! এখানে স্বামী/স্ত্রী দু'জনেই স্বাধীন, একাধীক বিবাহ করার অধিকার দুজনই রাখে! বনিবনা না হলে তালাক দিয়ে দু’জনই আলাদা হয়ে যাওয়ার অধিকার এখানে দু'জনেরই আছে! কিন্তু, আমাদের বাঙালি সমাজে স্ত্রীগণ শশুড় বাড়ীর শত যন্ত্রনা সয্য করে পড়ে থাকে, বহু চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে যখন সন্তানের মা হয়ে যায় তখন সে একটি সুপার পাওয়ার পেয়ে যায়! সন্তানকে সামনে রেখে শশুড়বাড়ির সকল ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিহত করতে থাকে! কিন্তু আল্লাহপাক মানুষের জীবনটাকে এতোটা কঠিন করেননি! একটি সংসারের জন্য একটি সন্তানের জন্য নিজের মহামুল্যবান জীবনটাকে এভাবে হারাত বলেননি! আসুন এবার জান‌তে চেষ্টা করা যাক আল কুরআন অনুসারে বিয়ে কি এবং কেন ও কোথায়, কিভা‌বেঃ কুরান অনুসারে বিয়ে করতে হলে যে বিষয়গুলো অনুসরন করতে হয় সেগুলো হলো;

আল-বাকারা ২:২২১
আনুবাদঃ আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে এবং মুমিন দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে নিশ্চয় উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। আর মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। তারা তোমাদেরকে আগুনের দিকে আহবান করে, আর আল্লাহ তাঁর অনুমতিতে তোমাদেরকে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন এবং মানুষের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। আল-বায়ান

সূরা আল-বাকারা আয়াত নং, ২৩৫ আনুবাদঃ-  আর এতে তোমাদের কোন পাপ নেই যে, তোমরা নারীদেরকে ইশারায় যে প্রস্তাব করবে কিংবা মনে গোপন করে রাখবে। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে স্মরণ করবে। কিন্তু বিধি মোতাবেক কোন কথা বলা ছাড়া গোপনে তাদেরকে (কোন) প্রতিশ্রুতি দিয়ো না। আর আল্লাহর নির্দেশ (ইদ্দত) তার সময় পূর্ণ করার পূর্বে বিবাহ বন্ধনের সংকল্প করো না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। আল-বায়ান

4:6ঃ An-Nisa' 4:6
বিবাহের বয়সে উপনীত হওয়া পর্যন্ত এতিমদেরকে তোমরা পর্যবেক্ষণে রাখবে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধিমত্তা লক্ষ্য করো তাহলে তাদের সম্পদ তাদেরকে দিয়ে দিও। অপচয় করে এবং তারা বড় হয়ে যাবে এই ভয়ে তাড়াতাড়ি করে এতিমদের সম্পদ শেষ করে ফেলো না। যে (অভিভাবক) ধনী সে যেন (এতিমের সম্পদ খরচ করা থেকে) বিরত থাকে। আর যে গরীব সে (তার শ্রমের জন্য) ন্যায়ভাবে (ন্যায্য পরিমাণ) খেতে পারে। আর যখন তোমরা তাদের সম্পদ দিয়ে দেবে তখন তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষী রেখো। আল্লাহ হিসাব গ্রহণের জন্য যথেষ্ট। 

4:21ঃ An-Nisa' 4:21
তোমরা তা কীভাবে (ফেরত) নিতে পার, অথচ তোমরা একে অপরের কাছে গমন করেছো (পরস্পর মিলিত হয়েছো) আর তারাও তোমাদের কাছ থেকে শক্ত অঙ্গীকার নিয়েছে। 

4:24ঃ An-Nisa' 4:24
এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত ক্রীতদাসীরা (বা যুদ্ধবন্দিনীরা) ব্যতীত সধবা (অন্যের বিবাহাধীন) নারীদেরকেও তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর বিধান। উল্লিখিত কয়েক প্রকার নারী ব্যতীত অন্য সব নারীকে অর্থ ব্যয় করে বিয়ে করার জন্য পেতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে; তবে অবৈধ যৌনকর্মের জন্য নয়। অতএব, এদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমরা (বিয়ের পর) যৌন সম্ভোগ করবে তাদেরকে তাদের নির্ধারিত পাওনা (মোহরানা) দিয়ে দেবে। (মোহরানা) নির্ধারণের পর পারস্পরিক সম্মতিতে কোন হ্রাস-বৃদ্ধি করলে তোমাদের কোন পাপ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী, পরম প্রাজ্ঞ। 

এছাড়াও নিন্মক্ত বিষয় গু‌লো অনুসরন কর‌তে হ‌বেঃ

1- উভয়ের বয়স mature কিনা তা দেখতে হবে (4:6)ঃ (উপ‌রে উ‌ল্লে‌খিত)
2- বিশ্বাসীগন অবিশ্বাসীদেরকে বা মুশরিকীনদের কে বিয়ে করতে পারবেন না (2:221) 
3- উভয়কেই একে অপরের প্রতি সুস্পস্ট সম্মতি বা কমিটমেন্ট থাকতে হবে (4:21)
4- বিবাহে সুস্পস্ট প্রকাশ্য ঘোষনা থাকতে হবে  (2:235)
5- বিবাহ লিখিত বা কন্টাক্ট হতে হবে (2:235)
6- বিবাহ হল স্থায়ী চুক্তি , অস্থায়ী নয় ॥ 4:21
a) ডিভোর্স দিতে হলে চার মাস অপেক্ষা করতে হবে (2:226) 

QS. Al-Ma'idah 5: Verse 5)
"আজ তোমাদের জন্য যাবতীয় ভাল ও পবিত্র বস্তু হালাল করা হল আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের খাদ্য তোমাদের জন্য হালাল, আর তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল, সচ্চরিত্রা মু’মিন নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারী তোমাদের জন্য হালাল করা হল যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর, বিবাহের দূর্গে স্থান দানের উদ্দেশ্যে, ব্যভিচারী হিসেবে নয় এবং গোপন সঙ্গী গ্রহণকারী হিসেবে নয়। কেউ ঈমান অমান্য করলে, তার কার্যাদি নিষ্ফল হবে। আর সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।"

At-Talaq 65:4
তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ঋতুস্রাব হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ হয়েছে (যাদের আর ঋতুস্রাব হওয়ার আশা নেই) তাদের (ইদ্দত) সম্পর্কে তোমাদের যদি সন্দেহ হয় তাহলে তাদের ইদ্দত (ধরবে) তিনমাস; (বয়স না হওয়ায়) যাদের ঋতুস্রাব হয় না তাদেরও (তাই)। আর গর্ভবতীদের ইদ্দত হল তাদের সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন। 
b) ডিভোর্স এর আগে পারিবারিকভাবে reconcile এর পদক্ষেপ নিতে হবে (4:35)
c) বড়ধরনের নৈতিক অধঃপতন ছাড়া বউকে স্বামীর গৃহ ছাড়া করা যাবে না (65:1)

At-Talaq 65:1
হে নবী! তোমরা স্ত্রীদের তালাক দিলে তাদের ইদ্দতের (ইদ্দত: তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের নির্দিষ্ট সময়কাল) প্রতি লক্ষ্য রেখে তালাক দেবে এবং (ঠিকভাবে) ইদ্দত গণনা করবে। আর তোমাদের প্রভু আল্লাহকে ভয় করবে। তাদেরকে তাদের ঘর থেকে বের করে দেবে না এবং তারা নিজেরাও যেন বের হয়ে না যায়। তবে তারা কোন প্রকাশ্য অশ্লীল কাজ করলে ভিন্ন কথা। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা (বিধান)। যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমারেখা লংঘন করে সে তার নিজের ওপরই জুলুম করে। তুমি জান না, আল্লাহ হয়তো এর পরে (এই তালাকের পরে) কোন একটি পথ বের করবেন। 

At-Talaq 65:2
অতঃপর তারা (তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীরা) তাদের (ইদ্দতের) মেয়াদশেষে উপনীত হলে তোমরা তাদেরকে ভালভাবে রেখে দেবে (ফেরত আনবে) অথবা ভালভাবে আলাদা করে দেবে (বিদায় করবে) এবং তোমাদের মধ্য থেকে দুঞ্চজন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে; আর তোমরা আল্লাহর জন্য সঠিক সাক্ষ্য দেবে। যে আল্লাহ ও পরকাল বিশ্বাস করে তাকে এই উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। আর যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার জন্য (সংকট থেকে) বের হওয়ার পথ করে দেবেন। 

d) ডিভোর্স দিতে হলে স্ত্রীকে ক্ষতিপূরন দিতে হবে (2:241)

At-Talaq 65:6
তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যে রকম বাসস্থানে থাক তাদের জন্যও তেমন বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে। তাদেরকে সংকটে ফেলার জন্য তাদের ক্ষতি করবে না। তারা গর্ভবতী হয়ে থাকলে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত তাদের খরচ বহন করবে। যদি তারা তোমাদের পক্ষে (তোমাদের সন্তানদেরকে) বুকের দুধ খাওয়ায় তাহলে তাদেরকে মজুরি দেবে এবং (এ ব্যাপারে) নিজেদের মধ্যে সঙ্গতভাবে পরামর্শ করে নেবে। (এ ক্ষেত্রে) যদি তোমরা উভয় পক্ষ একে অপরের প্রতি কঠোর হও তাহলে সন্তানের বাবার পক্ষে অন্য কোন নারী বুকের দুধ খাওয়াবে। 

e) সন্তান থাকলে তার ভরনপোষন এর ব্যয়ভার বহন করতে হবে (2:233)
f) সন্তান ছোট হলে সন্তানের লালন পালনের জন্য মাকে দুই বছর ভরনপোষন এর ব্যয় ভার বহন করতে হবে (2:233)

7- স্বামীকে অবশ্যই মোহরানা পরিশোধ করতে হবে (4:24)
এই হল বিবাহের রীতিনীতি ॥ এতে কোন মন্ত্র নেই ॥ বাকী আল্লাহ ভরসা ॥
 এ বিষ‌য়ে আল  কোরা‌নের  নি‌ন্মের আয়াত গু‌লো হ‌তে বিস্তা‌রিত জে‌নে নি‌তে হ‌বেঃ

২. আল-বাকারা ২:২২০ 
আনুবাদঃ ১ দুনিয়া ও আখিরাতের ব্যাপারে। আর তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে ইয়াতীমদের সম্পর্কে। বল, সংশোধন করা তাদের জন্য উত্তম। আর যদি তাদেরকে নিজদের সাথে মিশিয়ে নাও, তবে তারা তোমাদেরই ভাই। আর আল্লাহ জানেন কে ফাসাদকারী, কে সংশোধনকারী এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, অবশ্যই তোমাদের জন্য (বিষয়টি) কঠিন করে দিতেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল-বায়ান
======================
২. আল-বাকারা ২:২২২
আনুবাদঃ- ১   আর তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা হায়েযকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে। আল-বায়ান
=============================
২. আল-বাকারা ২:২২৩
আনুবাদঃ- ১- তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসলক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের ফসলক্ষেত্রে গমন কর, যেভাবে চাও। আর তোমরা নিজদের কল্যাণে উত্তম কাজ সামনে পাঠাও। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় তোমরা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে । আর মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও। আল-বায়ান
========================
২. আল-বাকারা ২:২২৪
আনুবাদঃ- ১  - আর আল্লাহকে তোমরা তোমাদের শপথ পূরণে প্রতিবন্ধক বানিয়ো না যে, তোমরা (আল্লাহর নামে এই বলে শপথ করবে যে) ভালো কাজ করবে না, তাকওয়া অবলম্বন করবে না এবং মানুষের মধ্যে সংশোধন করবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। আল-বায়ান
 =======================
২. আল-বাকারা ২:২২৫ 
আনুবাদঃ- ১- আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য পাকড়াও করবেন না। কিন্তু পাকড়াও করবেন যা তোমাদের অন্তরসমূহ অর্জন করেছে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। আল-বায়ান
========================
২. আল-বাকারা২:২২৬
আনুবাদঃ- ১- যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে মিলিত না হওয়ার শপথ করবে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর তারা যদি ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান
 ========================
২. আল-বাকারা ২:২২৭
আনুবাদঃ- ১- আর যদি তারা তালাকের দৃঢ় ইচ্ছা করে নেয় তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। আল-বায়ান
 ======================
২. আল-বাকারা২:২২৮ 
আনুবাদঃ- ১-আর তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন কুরূ* পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে এবং তাদের জন্য হালাল হবে না যে, আল্লাহ তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন, তা তারা গোপন করবে, যদি তারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে। আর এর মধ্যে তাদের স্বামীরা তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অধিক হকদার, যদি তারা সংশোধন চায়। আর নারীদের রয়েছে বিধি মোতাবেক অধিকার। যেমন আছে তাদের উপর (পুরুষদের) অধিকার। আর পুরুষদের রয়েছে তাদের উপর মর্যাদা এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল-বায়ান
 ===========================
২. আল-বাকারা২:২২৯
আনুবাদঃ- ১- তালাক দু’বার। অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে। আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে নেবে। তবে উভয়ে যদি আশঙ্কা করে যে, আল্লাহর সীমারেখায় তারা অবস্থান করতে পারবে না। সুতরাং তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে না তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজকে মুক্ত করে নেবে তাতে কোন সমস্যা নেই। এটা আল্লাহর সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। আর যে আল্লাহর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, বস্তুত তারাই যালিম। আল-বায়ান
 =======================
২. আল-বাকারা২:২৩০
আনুবাদঃ- ১- অতএব যদি সে তাকে তালাক দেয় তাহলে সে পুরুষের জন্য হালাল হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ভিন্ন একজন স্বামী সে গ্রহণ না করে। অতঃপর সে (স্বামী) যদি তাকে তালাক দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের অপরাধ হবে না যে, তারা একে অপরের নিকট ফিরে আসবে, যদি দৃঢ় ধারণা রাখে যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে। আর এটা আল্লাহর সীমারেখা, তিনি তা এমন সম্প্রদায়ের জন্য স্পষ্ট করে দেন, যারা জানে। আল-বায়ান
 =======================
২. আল-বাকারা২:২৩১
আনুবাদঃ- ১- আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে অতঃপর তারা তাদের ইদ্দতে পৌঁছে যাবে তখন হয়তো বিধি মোতাবেক তাদেরকে রেখে দেবে অথবা বিধি মোতাবেক তাদেরকে ছেড়ে দেবে। তবে তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সীমালঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটকে রেখো না। আর যে তা করবে সে তো নিজের প্রতি যুলম করবে। আর তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে উপহাসরূপে গ্রহণ করো না। আর তোমরা স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত এবং তোমাদের উপর কিতাব ও হিকমত যা নাযিল করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয় সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত। আল-বায়ান
 ==============================
২. আল-বাকারা২:২৩২
আনুবাদঃ- ১- আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে অতঃপর তারা তাদের ইদ্দতে পৌঁছবে তখন তোমরা তাদেরকে বাধা দিয়ো না যে, তারা তাদের স্বামীদেরকে বিয়ে করবে যদি তারা পরস্পরে তাদের মধ্যে বিধি মোতাবেক সম্মত হয়। এটা উপদেশ তাকে দেয়া হচ্ছে, যে তোমাদের মধ্যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে। এটি তোমাদের জন্য অধিক শুদ্ধ ও অধিক পবিত্র। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। আল-বায়ান
 ===========================
২. আল-বাকারা২:২৩৩
আনুবাদঃ- ১- আর মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, (এটা) তার জন্য যে দুধ পান করাবার সময় পূর্ণ করতে চায়। আর পিতার উপর কর্তব্য, বিধি মোতাবেক মাদেরকে খাবার ও পোশাক প্রদান করা। সাধ্যের অতিরিক্ত কোন ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় না। কষ্ট দেয়া যাবে না কোন মাকে তার সন্তানের জন্য, কিংবা কোন বাবাকে তার সন্তানের জন্য। আর ওয়ারিশের উপর রয়েছে অনুরূপ দায়িত্ব। অতঃপর তারা যদি পরস্পর সম্মতি ও পরামর্শের মাধ্যমে দুধ ছাড়াতে চায়, তাহলে তাদের কোন পাপ হবে না। আর যদি তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে অন্য কারো থেকে দুধ পান করাতে চাও, তাহলেও তোমাদের উপর কোন পাপ নেই, যদি তোমরা বিধি মোতাবেক তাদেরকে যা দেবার তা দিয়ে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। আল-বায়ান
 =============================
২. আল-বাকারা২:২৩৪
আনুবাদঃ- ১- আর তোমাদের মধ্য থেকে যারা মারা যাবে এবং স্ত্রীদেরকে রেখে যাবে, তাদের স্ত্রীগণ চার মাস দশ দিন অপেক্ষায় থাকবে। অতঃপর যখন তারা ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন তারা নিজদের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক যা করবে, সে ব্যাপারে তোমাদের কোন পাপ নেই। আর তোমরা যা কর, সে ব্যাপারে আল্লাহ সম্যক অবগত। আল-বায়ান
 ============================
২. আল-বাকারা২:২৩৬
আনুবাদঃ- ১- তোমাদের কোন অপরাধ নেই যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এমন অবস্থায় যে, তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করনি কিংবা তাদের জন্য কোন মোহর নির্ধারণ করনি। আর উত্তমভাবে তাদেরকে ভোগ-উপকরণ দিয়ে দাও, ধনীর উপর তার সাধ্যানুসারে এবং সংকটাপন্নের উপর তার সাধ্যানুসারে। সুকর্মশীলদের উপর এটি আবশ্যক। আল-বায়ান
 ===========================
২. আল-বাকারা২:২৩৭
আনুবাদঃ- ১- আর যদি তোমরা তাদেরকে তালাক দাও, তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে এবং তাদের জন্য কিছু মোহর নির্ধারণ করে থাক, তাহলে যা নির্ধারণ করেছ, তার অর্ধেক (দিয়ে দাও)। তবে স্ত্রীরা যদি মাফ করে দেয়, কিংবা যার হাতে বিবাহের বন্ধন সে যদি মাফ করে দেয়। আর তোমাদের মাফ করে দেয়া তাকওয়ার অধিক নিকটতর। আর তোমরা পরস্পরের মধ্যে অনুগ্রহ ভুলে যেয়ো না। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। আল-বায়ান
 =======
২. আল-বাকারা২:২৪০
আনুবাদঃ- ১- আর তোমাদের মধ্য থেকে যারা মারা যাবে এবং স্ত্রীদেরকে রেখে যাবে, তারা তাদের স্ত্রীদের জন্য এক বছরের ভরণ-পোষণের ওসিয়ত করবে বের না করে দিয়ে; কিন্তু যদি তারা (স্বেচ্ছায়) বের হয়ে যায়, তাহলে তারা নিজদের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক যা করেছে, সে ব্যাপারে তোমাদের কোন পাপ নেই। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল-বায়ান
 =============================
২. আল-বাকারা২:২৪১ 
আনুবাদঃ- ১- আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের জন্য থাকবে বিধি মোতাবেক ভরণ-পোষণ। (এটি) মুত্তাকীদের উপর আবশ্যক। আল-বায়ান
 =============================
An-Nisa' 4:19
হে ঈমানদারগণ! জোর করে নারীদের উত্তরাধিকারী হওয়া (উত্তরাধিকার হিসেবে তাদেরকে পেতে চাওয়া) তোমাদের জন্য বৈধ নয়। তোমরা তাদেরকে (মোহরানাস্বরূপ) যা দিয়েছো তার কিছু অংশ নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদেরকে আটকে রেখো না, তবে তারা প্রকাশ্য অশ্লীলতা করলে ভিন্ন কথা। তাদের সাথে সম্মানজনকভাবে বসবাস কর। আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ করো তাহলেও তো এমনও হতে পারে যে, তোমরা একটা জিনিস অপছন্দ করছ অথচ আল্লাহ তার মধ্যে অনেক কল্যাণ রেখেছেন। 

An-Nisa' 4:20
আর তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করতে চাইলে এবং তাদের কাউকে (মোহরানাস্বরূপ) বিপুল সম্পদ দিয়ে থাকলে তা থেকে কিছুই নেবে না। তোমরা কি অপবাদ দিয়ে আর স্পষ্ট পাপ করে তা (ফেরত) নিতে চাচ্ছ? 

An-Nisa' 4:21
তোমরা তা কীভাবে (ফেরত) নিতে পার, অথচ তোমরা একে অপরের কাছে গমন করেছো (পরস্পর মিলিত হয়েছো) আর তারাও তোমাদের কাছ থেকে শক্ত অঙ্গীকার নিয়েছে। 

An-Nisa' 4:22
যে নারীদেরকে তোমাদের বাবারা (বাবা, দাদা, নানা) বিয়ে করেছে তোমরা তাদেরকে বিয়ে করবে না; তবে পূর্বে যা হয়ে গিয়েছে (তা ভিন্ন কথা)। অবশ্যই এটা ছিল একটা অশোভন ও ঘৃণ্য কাজ এবং নিকৃষ্ট নিয়ম। 

An-Nisa' 4:23
যাদেরকে বিয়ে করা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তারা হল: তোমাদের মায়েরা (মা, নানী, দাদী), কন্যারা (কন্যা, পৌত্রী, দৌহিত্রী), বোনেরা (সহোদরা, বৈমাত্রেয়ী, বৈপিত্রেয়ী), ফুফুরা, খালারা, ভাইঝিরা, ভাগ্নিরা, দুধমায়েরা, দুধবোনেরা, শাশুড়ীরা এবং তোমাদের যে স্ত্রীদের সাথে তোমরা সহবাস করেছো তাদের (অন্য স্বামীর ঔরসজাত) কন্যারা যারা তোমাদের তত্ত্বাবধানে আছে— তোমরা ঐ স্ত্রীদের সাথে সহবাস না করে থাকলে (তাদের কন্যাদের বিয়ে করায়) কোন পাপ নেই—। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের (পুত্র, পৌত্র, দৌহিত্র) স্ত্রীদেরকে এবং একত্রে দুই বোনকে বিয়ে করাও (তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে); তবে পূর্বে যা হয়ে গিয়েছে (তা এই নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে)। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

An-Nisa' 4:24
এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত ক্রীতদাসীরা (বা যুদ্ধবন্দিনীরা) ব্যতীত সধবা (অন্যের বিবাহাধীন) নারীদেরকেও তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর বিধান। উল্লিখিত কয়েক প্রকার নারী ব্যতীত অন্য সব নারীকে অর্থ ব্যয় করে বিয়ে করার জন্য পেতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে; তবে অবৈধ যৌনকর্মের জন্য নয়। অতএব, এদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমরা (বিয়ের পর) যৌন সম্ভোগ করবে তাদেরকে তাদের নির্ধারিত পাওনা (মোহরানা) দিয়ে দেবে। (মোহরানা) নির্ধারণের পর পারস্পরিক সম্মতিতে কোন হ্রাস-বৃদ্ধি করলে তোমাদের কোন পাপ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী, পরম প্রাজ্ঞ। 
An-Nisa' 4:25
তোমাদের মধ্যে যাদের ঈমানদার সচ্চরিত্র (স্বাধীন) নারীদেরকে বিয়ে করার আর্থিক সামর্থ্য নেই, তারা তোমাদের অধিকারভুক্ত ঈমানদার দাসীদেরকে বিয়ে করবে। তোমাদের ঈমান সম্পর্কে আল্লাহই ভাল জানেন। তোমরা তো সবাই এক। তাই তাদের (দাসীদের) মালিকদের অনুমতি নিয়ে তাদেরকে বিয়ে করবে এবং যথাযথভাবে তাদের পাওনা (মোহরানা) পরিশোধ করবে, যদি তারা সচ্চরিত্রা হয় এবং ব্যভিচারিণী কিংবা উপপতি- গ্রহণকারিণী না হয়। আর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তারা যদি ব্যভিচার করে তাহলে তাদের শাস্তি স্বাধীন (অবিবাহিত) নারীদের শাস্তির অর্ধেক। তোমাদের মধ্যে যারা পাপকে ভয় করে এ ব্যবস্থা তাদের জন্য। আর ধৈর্যধারণ করতে পারলে তা তোমাদের জন্য আরো উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

An-Nisa' 4:26
আল্লাহ তোমাদের জন্য (সবকিছু) পরিষ্কার করে দিতে চান, তোমাদেরকে তোমাদের পূর্ববর্তীদের পথ দেখিয়ে দিতে চান এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিতে চান। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, পরম প্রাজ্ঞ। 

৪. আন-নিসা।৪:৩ 
আনুবাদঃ- ১- পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযাতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাযাত করেছেনে। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান। আল-বায়ান
 ===========
৪. আন-নিসা৪:৩৫
আনুবাদঃ- ১- আর যদি তোমরা তাদের উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা কর তাহলে স্বামীর পরিবার থেকে একজন বিচারক এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন বিচারক পাঠাও। যদি তারা মীমাংসা চায় তাহলে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে মিল করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, সম্যক অবগত। আল-বায়ান
 ==========================
Al-Ahzab 33:49
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমানদার নারীদেরকে বিয়ে করার পর তাদেরকে স্পর্শ করার (তাদের সাথে যৌন মিলনের) আগেই  যদি তালাক দাও তাহলে তাদের ব্যাপারে তোমাদের কোন ইদ্দত গণনা করতে হবে না (তাদের কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না)। তখন তোমরা তাদেরকে কিছু জিনিসপত্র দিয়ে সুন্দরভাবে বিদায় করবে। 

Al-Ahzab 33:50
হে নবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীদেরকে, যাদেরকে তুমি মোহরানা দিয়েছো এবং তোমার মালিকানাধীন দাসীদেরকে, যাদেরকে আল্লাহ তোমার জন্য দান করেছেন। আর (বিয়ে করার জন্য বৈধ করেছেন) তোমার চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো ও খালাতো বোনদেরকে যারা তোমার সাথে হিজরত করেছে এবং (বিনা মোহরানায় বিয়ে করা বৈধ করেছেন) এমন কোন মুমিন নারীকে যে নিজেকে নবীর কাছে সমর্পণ করে, যদি নবী তাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক হয়। (এই বিনা মোহরানায় বিয়ে করা) কেবলমাত্র তোমার জন্য (বৈধ), (সাধারণ) মুমিনদের জন্য নয়। তাদের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে তাদের ওপর যা ধার্য করেছি তা তো আমার জানাই আছে। (মোহরানার ব্যাপারে তোমার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে) যাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

Al-Ahzab 33:51

তুমি তাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে এবং যাকে ইচ্ছা তোমার কাছে রাখতে পার। আবার যাদেরকে দূরে রেখেছো তাদের মধ্য থেকে কাউকে পেতে চাইলে তোমার কোন দোষ হবে না। এটাই শ্রেয়তর। এতে তাদের চোখ শীতল হবে, তারা দুঃখ পাবে না এবং তুমি তাদেরকে যা দেবে তাতে তারা সবাই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, সহনশীল। 

Al-Ahzab 33:52

এরপর (এর বাইরে) অন্য নারীরা তোমার জন্য বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তেও অন্য স্ত্রী গ্রহণ করা তোমার জন্য বৈধ নয়, অন্য নারীদের সৌন্দর্য তোমাকে মুগ্ধ করলেও; তবে তোমার মালিকানাধীন দাসীদের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ সবকিছুর ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন।
প‌রি‌শে‌ষেঃ
২. আল-বাকারা ২:২৪২ 
আনুবাদঃ- ১- এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দেন, যাতে তোমরা উপলব্ধি কর । আল-বায়ান
=========
সংগ্রহেঃ= 
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী  
এম এস এস ( দর্শন)

Popular posts from this blog

-ঃআল-কুরআনুল করীমঃ-

বিস‌মিল্লা‌হির রহমনুর রহিম -ঃআল-কুরআনুল করীমঃ- ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বাংলা তরজমা ও সম্পাদনাঃ- শামসুল ‘উলামা বেলায়েত হোসেন  মাওলানা আবদুর রহমান কাশগরী  মুহম্মদ মাহমূদ মুস্তফা শা'বান  শামসুল উলামা মুহম্মদ আমীন 'আব্বাসী  ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্  প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ অধ্যক্ষ এ.এইচ. এম. আবদুল কুদ্দুস  মাওলানা মীর আবদুস সালাম অধ্যাপক শাহেদ আলী মাওলানা ফজলুল করীম  এ.এফ.এম. আবদুল হক ফরিদী  আহমদ হুসাইন  মাওলানা আলাউদ্দীন আল-আজহারী  মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ্  হাফেজ মঈনুল ইসলাম আবুল হাশিম -ঃ৩য়সংস্করণের সম্পাদকমণ্ডলীঃ- ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ জনাব আ.ফ.ম. আবদুল হক ফরিদী ডক্টর এ.কে.এম. আইউব আলী  ডক্টর মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ডক্টর এম. শমশের আলী জনাব দাউদ-উজ-জামান চৌধুরী জনাব আহমদ হুসাইন জনাব মাওলানা আতাউর রহমান খান জনাব মাওলানা ওবায়দুল হক জনাব আ.ত.ম. মুছলেহ্ উদ্দীন জনাব মোহাম্মদ ফেরদাউস খান জনাব মাওলানা রিজাউল করীম ইসলামাবাদী জনাব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ জনাব এ.এফ.এম. আবদুর রহমান অধ্যাপক শাহেদ আলী  মুফতী মুহাম্মদ

Whey The Government Sector Are So Poor !

Add caption Whey The Government Sector Are So Poor ! ভাল ছাত্ররা কেন পুুলিশ বা আর্মীতে চাকুরী পায়না !! কথা সত্য ! স্কুলের প্রথম ব্রেঞ্চের ছাত্ররা খুব কমই সরকারী চাকুরী পায় !! কেননা মেধার জোর থাকলেও তাদের শুপারিশের জোর থাকেনা ! তাইতো সরকারী সেক্টরে তাদের চাকুরীও হয়না ! হলেও হয় কোন প্রায়ভেট ফোর্মে অথবা প্রবসে ! আর পুলিশের চাকুরী হয় সব সময় পেছনের ব্রেঞ্চের ছাত্রের ! কারন ওদের মেধা না থাকলেও খুটির জোর আছে !! তাছাড়া ও যখন পুলিশের চাকুরী হয় তখন ভাল ছাত্র, মেধাবীরা পড়া লেখায় ব্যস্ত থাকে, নিজেকে বিকশিত করে, আগামীতে বড় কোন অফিসার হবার !! কিন্তু ! তাদের পড়ালেখা যখন শেষ, তখন পুলিশের কোটাও শেষ ! আর্মি এর কোটা শেষ ! সরকারী চাকরীর কোটাতো রিজাভ আছে, কোন নেতা, বড় বাবু, তথা , এলিট বা ধনীক মহাশয়ের অযোগ্য পুত্র বা নাতি বা ভাতিজা অথবা ভাগ্নী ইত্যাদির জন্য ! তাইতো মেধাবী মধ্যবিত্ত ছেলেটির আর সরকারী দপ্তরে আসা হয়না ! যেতে হয় প্রায়ভেট ফোর্মে ! ফলা ফল প্রায়ভেট সেক্টর লাভ করলেও সরকারী সেক্টর সবসময় লোকসান গুনতেই থাকে !! কেননা মেধা তো মেধাই তাইনা !! প্রত্যেকটা সেক্টরের ‍দিকে তাকান, সম অবস্তা দেখবেন !

বিষয় : নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি   এই সেই ধর্ষক  "ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষকই"   ধর্ষকের কোন দল নাই..  সে কারো আত্মীয় নয়  কারো ভাই বা সন্তন নয় তার একটাই পরিচয় ; সে ধর্ষক !! তাই আমি চাই; ধর্ষনকারীর কঠিন  শাস্তি হোক. . আমি সামগ্রিক ভাবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ্য ও কঠিন শাস্তি দাবী করছি। অন্যদিকে দুঃখজনক ভাবে এই ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস্রতায় রুপ প্রদানে ব্যস্ত মাহফুজ আনাম, ডেইলিস্টার, প্রথম আলো, যুগান্তর সহ একটা পক্ষ!গৃহবধূর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা সত্য তবে এটার সাথে আ'লীগের ভোট দেওয়া না দেওয়ার বিষয় জড়িত নয়। গৃহবধূর স্বামী জানান, রোববার দুপুরের দিকে তার স্ত্রী স্থানীয় ভোটকেন্দ্র চর জুবলীর ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান। তিনি ভোট দিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করে এবং উত্ত্যক্ত করে। তার স্ত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। এ অবস্থায় রুহুল আমিন ও তার লোকজন স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রোববার গভীর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল সন্ত্রাসী দরজা ভেঙ