## কোরানের আলোকে বেহেস্তের চাবিঃ বিশ্বাস ও সৎ কর্ম জান্নাতের ভিত্তি ##
জেনে রাখা জরুরী; নেকি / সাওয়াবের বিনিময়ে জান্নাত নয়, বা পাওয়া যাবেনা, বরং "বিশ্বাস ও সৎকর্ম করা এবং অসৎ কর্ম পরিত্যাগ করা" এর বিনিময়ে জান্নাত মিলবে! বিশ্বাস হলোনা তো! কোরান কিন্তু তাই বলে! নিজেই যাচাই করুন!০১। [ সুরা-২ বাকারা ২:২৩ ]
এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। আল-বায়ান
০২। [ সুরা-২ বাকারা :২৪ ]
আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য। আল-বায়ান
০৩। সূরা-২ বাকারা আয়াত- 25
আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করেছে তাদেরকে শুভ সংবাদ দিন যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।আল-বায়ান
০৪। সূরা-২ বাকারা আয়াত : 62
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না। [ সুরা বাকারা ২:৬২]
০৫। [ সুরা-২ বাকারা :৭৮ ]
তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।আল-বায়ান
০৬। [ সুরা-২ বাকারা :৭৯ ]
অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাত ে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে। [সুরা বাকারা ২:৭৯]
০৭ [ সুরা-২ বাকারা :৮০ ]
তারা বলেঃ আগুন আমাদিগকে কখনও স্পর্শ করবে না; কিন্তু গণাগনতি কয়েক দিন। বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার পেয়েছ যে, আল্লাহ কখনও তার খেলাফ করবেন না-না তোমরা যা জান না, তা আল্লাহর সাথে জুড়ে দিচ্ছ। [ সুরা বাকারা ২:৮০ ]
০৮। [ সুরা-২ বাকারা : ৮১ ]
হাঁ, যে ব্যক্তি পাপ অর্জন করেছে এবং সে পাপ তাকে পরিবেষ্টিত করে নিয়েছে, তারাই দোযখের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে।আল-বায়ান
০৯। [ সুরা-২ বাকারা : ৮২ ]
পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে। আল-বায়ান
১০। সুরা বাকারা আয়াত নং-১৭৭
”ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা তোমাদের চেহারা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ফিরাবে; বরং ভালো কাজ হল যে ঈমান আনে আল্লাহ, শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি এবং যে সম্পদ প্রদান করে তার প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও নিকটাত্মীয়গণকে, ইয়াতীম, অসহায়, মুসাফির ও প্রার্থনাকারীকে এবং বন্দিমুক্তিতে এবং যে সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং যারা অঙ্গীকার করে তা পূর্ণ করে, যারা ধৈর্যধারণ করে কষ্ট ও দুর্দশায় ও যুদ্ধের সময়ে। তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকী।” আল-বায়ান (২:১৭৭)
১১। আল ইমরান:আয়াত নং-৫৭
”আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, তিনি তাদেরকে পরিপূর্ণ প্রতিদান দেবেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।” আল-বায়ান
১২। আল ইমরান:আয়াত নং-১৩৪
”যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।” আল-বায়ান
১৩। সূরা-৪ আন নিসা আয়াত -৫৭
আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, অচিরেই আমি তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতসমূহে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা হবে স্থায়ী। সেখানে তাদের জন্য রয়েছে পবিত্র স্ত্রীগণ এবং তাদেরকে আমি প্রবেশ করাব বিস্তৃত ঘন ছায়ায়। আল-বায়ান
১৪। সূরা-৪ আন নিসা আয়াত -১৭৩
পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তিনি তাদেরকে তাদের পুরষ্কার পরিপূর্ণ দেবেন এবং তাঁর অনুগ্রহে তাদেরকে বাড়িয়ে দেবেন। আর যারা হেয় জ্ঞান করেছে এবং অহঙ্কার করেছে, তিনি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন এবং তারা তাদের জন্য আল্লাহ ছাড়া কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না। আল-বায়ান
১৫। সূরা-৪ আন নিসা আয়াত -১২২
যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আমি তাদেরকে উদ্যানসমূহে প্রবিষ্ট করাব, যেগুলোর তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। তারা চিরকাল তথায় অবস্থান করবে। আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সত্য সত্য। আল্লাহর চাইতে অধিক সত্যবাদী কে? [ সুরা নিসা ৪:১২২ ]
১৬। সূরা-৪ আন নিসা আয়াত : ১২৪
যে লোক পুরুষ হোক কিংবা নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল পরিমাণ ও নষ্ট হবে না। [ সুরা নিসা ৪:১২৪ ]
১৭। সূরা-৪ আন নিসা আয়াত : ১২৫
যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার? আল্লাহ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। [ সুরা নিসা ৪:১২৫]
১৮। সূরা-৫ আল মায়দা আয়াত- 0৯
যাহারা বিশ্বাস স্থাপন করে, এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহান প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। [ [সুরা মায়েদা ৫:৯]
১৯ সূরা-৫ আল মায়দা আয়াত- ৯৩
"যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে তারা পূর্বে যা খেয়েছে তার জন্য তাদের উপর কোন পাপ নেই যদি তারা (হারাম থেকে) বিরত থাকে, আর ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, অতঃপর সাবধানতা অবলম্বন করে আর ঈমানের উপর থাকে, অতঃপর আল্লাহকে ভয় করে এবং সৎকাজ করে। আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।" (QS. Al-Ma'idah 5: Verse 93)
২০. (QS. Al-An'am 6: Verse 82)
"যারা ঈমান এনেছে আর যুলম (অর্থাৎ শিরক) দ্বারা তাদের ঈমানকে কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা লাভ তারাই করবে আর তারাই হল সঠিক পথপ্রাপ্ত।"
২১. (QS. Al-An'am 6: Verse 160)
"যে ব্যক্তি সৎকর্ম করবে তার জন্য আছে দশ গুণ পুরস্কার, আর যে ব্যক্তি অসৎকাজ করবে তাকে শুধু কৃতকর্মের তুল্য প্রতিফল দেয়া হবে, তাদের উপর অত্যাচার করা হবে না।
২২। সূরা-৭, আল আ'রাফ, আয়াতঃ- ৪২
"আর যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে- আমি কারো উপর সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেইনা- তারা হবে জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা হবে স্থায়ী।" (QS. Al-A'raf 7: Verse 42)
২৩। সূরা-৭, আল আ'রাফ, আয়াতঃ- ১৫৩
"আর যারা অসৎ কাজ করে, অতঃপর তাওবাহ করে আর ঈমান আনে তাহলে এ সবের পর তোমার প্রতিপালক অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (QS. Al-A'raf 7: Verse 153)
২৪। সূরা-৭, আল আ'রাফ, আয়াতঃ- ১৯৯
আপনি ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন করুন, সৎকর্মের নির্দেশ দিন, এবং মূর্খদেরকে এড়িয়ে চলুন। আল-বায়ান
২৫। সূরা-৯, আত তাওবাহ, আয়াতঃ- ৬৭
মুনাফিক পুরুষ আর মুনাফিক নারী সব এক রকম, তারা অন্যায় কাজের নির্দেশ দেয় আর সৎকর্ম করতে নিষেধ করে, (আল্লাহর পথে ব্যয় করার ব্যাপারে) হাত গুটিয়ে রাখে, তারা আল্লাহকে ভুলে গেছে, তাই তিনিও তাদেরকে ভুলে গেছেন। মুনাফিকরাই তো ফাসিক। আল-বায়ান
২৬। সূরা-৯, আত তাওবাহ, আয়াতঃ- ৭১
মু’মিন পুরুষ আর মু’মিন নারী পরস্পর পরস্পরের বন্ধু, তারা সৎকর্মের নির্দেশ দেয়, অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে, নামায ক্বায়িম করে, যাকাত দেয়, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে। তাদের প্রতিই আল্লাহ করুণা প্রদর্শন করবেন। আল্লাহ তো প্রবল পরাক্রান্ত, মহা প্রজ্ঞাবান। আল-বায়ান
২৭। সূরা-৯, আত তাওবাহ, আয়াতঃ- ৯১
দুর্বলের উপর, পীড়িতের উপর আর ব্যয় করার মত কোন সম্বল যাদের নেই তাদের উপর কোন অভিযোগ নেই, যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে থাকে। সৎকর্মশীলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করার কোন সুযোগ নেই, আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান
২৮। সূরা-৯, আত তাওবাহ, আয়াতঃ- ১০০
মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম সারির অগ্রণী আর যারা তাদেরকে যাবতীয় সৎকর্মে অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট, তাদের জন্য তিনি প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নাত যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই হল মহান সফলতা। আল-বায়ান
২৯। সূরা-৯, আত তাওবাহ, আয়াতঃ- ১০২
আর অন্য কিছু লোক তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে, সৎকর্মের সঙ্গে তারা অসৎকর্মের মিশ্রণ ঘটিয়েছে। আশা করা যায়, আল্লাহ তাদের তাওবা কবূল করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান
৩০। সূরা-৯, আত তাওবাহ, আয়াতঃ- ১১২
তারা তাওবা-কারী, ইবাদাত-কারী, আল্লাহ্র শুকরিয়া-কারী, সিয়াম পালন-কারী, রুকূ’কারী, সিজদা-কারী, সৎকর্মের আদেশদাতা, অসৎকাজের নিষেধকারী এবং আল্লাহ্র নির্ধারিত সীমারেখা সংরক্ষণকারী; আর আপনি মুমিনদেরকে শুভ সংবাদ দিন। আল-বায়ান
৩১। সূরা-৯, আত তাওবাহ আয়াতঃ- ১২০
মদীনার অধিবাসী ও তার আশপাশের মরুবাসীদের জন্য সংগত নয় যে, রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রাসূলের জীবন অপেক্ষা নিজদের জীবনকে অধিক প্রিয় মনে করবে। এটা এ কারণে যে, তাদেরকে আল্লাহর পথে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধায় আক্রান্ত করে এবং তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফিরদের ক্রোধ জন্মায় এবং শত্রুদেরকে তারা ক্ষতিসাধন করে, তার বিনিময়ে তাদের জন্য সৎকর্ম লিপিবদ্ধ করা হয়। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের প্রতিদান নষ্ট করেন না। আল-বায়ান
৩২। সূরা-১০, ইউনুস, আয়াতঃ- ৪
তাঁরই কাছে তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন। আল্লাহর ওয়াদা সত্য। নিশ্চয় তিনি সৃষ্টির সূচনা করেন। তারপর তার পুনরাবর্তন ঘটান। যারা বিশ্বাস এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে তাদেরকে ইনসাফপূর্ণ প্রতিদান দেয়ার জন্য। আর যারা কুফরী করেছে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তপ্ত পানীয় এবং বেদনাদায়ক আযাব। এ কারণে যে তারা কুফরী করত। আল-বায়ান
৩৩। সূরা-১০, ইউনুস, আয়াতঃ- ৯
নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের প্রতিপালক তাদের বিশ্বাসের কারণে তাদেরকে পথ প্রদর্শন করবেন, তাদের (বাসস্থান হবে) আরামদায়ক জান্নাতসমূহে যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। আল-বায়ান
৩৪। সূরা-১১ আল হুদ আয়াত : 11
তবে যারা ধৈর্য্যধারণ করেছে এবং সৎকার্য করেছে তাদের জন্য ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান রয়েছে। [ সুরা হুদ ১১:১১ ]
৩৫। সূরা-১১ আল হুদ আয়াত : 23
নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে এবং স্বীয় পালনকর্তার সমীপে বিনতি প্রকাশ করেছে তারাই বেহেশতবাসী, সেখানেই তারা চিরকাল থাকবে। [ সুরা হুদ:11:23 ]
৩৬. সূরা-১২ ইউছুফ -আয়াত-:৯০
"তারা বলল, ‘তাহলে তুমিই কি ইউসুফ?’ সে বলল, ‘আমিই ইউসুফ আর এটা হল আমার ভাই। আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে আর ধৈর্যধারণ করে এমন সৎকর্মশীলদের কর্মফল আল্লাহ কক্ষনো বিনষ্ট করেন না।’" (QS. Yusuf 12: Verse 90)
৩৭. সূরা-১৩ আর-রাদ -আয়াত-:২৯
‘যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে, তাদের জন্য রয়েছে স্বাচ্ছন্দ ও সুন্দর প্রত্যাবর্তনস্থল’। আল-বায়ান
৩৮. সূরা-১৪ ইবরাহীম আয়াত নং-১৪:২৩
আর যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে তাদের জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে, তারা তাতে তাদের রবের অনুমতিক্রমে স্থায়ী হবে। তথায় তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’। আল-বায়ান
৩৯. সূরা-১৬ আন-নাহাল আয়াত নং ১৬:৯৭
যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব। আল-বায়ান
৪০. সূরা.১৭. আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) আয়াত নং ১৭ঃ৯
নিশ্চয় এ কুরআন এমন একটি পথ দেখায় যা সবচেয়ে সরল এবং যে মুমিনগণ নেক আমল করে তাদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। আল-বায়ান
৪১। সূরা-১৮ আল কাহাফ আয়াত ১৮: : ২
সরলরূপে, যাতে সে তাঁর পক্ষ থেকে কঠিন আযাব সম্পর্কে সতর্ক করে এবং সুসংবাদ দেয়, সেসব মুমিনকে, যারা সৎকর্ম করে, নিশ্চয় তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। আল-বায়ান
৪২। সূরা-১৮ আল কাহাফ আয়াত ১৮:: ৩০
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার নষ্ট করি না। [সুরা কা’হফ ১৮:৩০]
৪৩। সূরা-১৮ আল কাহাফ আয়াত : ১৮:: ৪৬
সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের শোভা। আর স্থায়ী সৎকাজ তোমার রবের নিকট প্রতিদানে উত্তম এবং প্রত্যাশাতেও উত্তম। আল-বায়ান
৪৪। সূরা-১৮ আল কাহাফ আয়াত : ১৮:: ৮৮
‘আর যে ব্যক্তি ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে, তার জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার। আর আমি আমার ব্যবহারে তার সাথে নরম কথা বলব’। আল-বায়ান
৪৫। [সূরা-১৮ আল কাহাফ আয়াত :107]
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস। 18:107
৪৬। [সূরা-১৮ আল কাহাফ আয়াত :110]
বল, ‘আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট ওহী প্রেরণ করা হয় যে, তোমাদের ইলাহই এক ইলাহ। সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে’। আল-বায়ান
৪৭। [সূরা-১৯. মারইয়াম আয়াত নং-১৯:৬০
তবে তারা নয় যারা তাওবা করেছে, ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে; তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না। আল-বায়ান
৪৮। [সূরা-১৯. মারইয়াম আয়াত নং-১৯:৭৬]
আর যারা সঠিক পথে চলে আল্লাহ তাদের হিদায়াত বৃদ্ধি করেন আর স্থায়ী সৎকর্মসমূহ তোমার রবের কাছে পুরস্কার প্রাপ্তির দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ এবং পরিণতি হিসেবেও শ্রেষ্ঠ। আল-বায়ান
৪৯। [সূরা-১৯. মারইয়াম আয়াত নং-১৯:৯৬]
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে পরম করুণাময় অবশ্যই তাদের জন্য (বান্দাদের হৃদয়ে) ভালবাসা সৃষ্টি করবেন। আল-বায়ান
৫০। [সূরা-২০. ত্ব-হাআয়াত নং-২০ঃ৭৫]
আর যারা তাঁর নিকট আসবে মুমিন অবস্থায়, সৎকর্ম করে তাদের জন্যই রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা। আল-বায়ান
৫১। [সূরা-২০. ত্ব-হাআয়াত নং-২০ঃ৮২]
আর অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎ পথে চলতে থাকে। আল-বায়ান
৫২। [সূরা-২০. ত্ব-হা আয়াত নং-২০ঃ১১২]
যে সৎ কাজ করবে মু’মিন হয়ে, তার অবিচার বা ক্ষতির কোন আশংকা নেই। তাইসিরুল
৫৩। [সূরা-২১. আল-আম্বিয়া আয়াত নং- ২১:৯৪
সুতরাং যে মুমিন অবস্থায় সৎকাজ করে তার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করা হবে না। আর আমি তো তা লিখে রাখি। আল-বায়ান
৫৪। সূরা-২২ হাজ্ব আয়াত : 14
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশ দিয়ে নির্ঝরণীসমূহ প্রবাহিত হয়। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন। [ সুরা হাজ্জ্ব ২২:১৪ ]
৫৫। সূরা-২২ হাজ্ব আয়াত: 23
নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন উদ্যান সমূহে, যার তলদেশ দিয়ে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হবে। তাদেরকে তথায় স্বর্ণ-কংকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং তথায় তাদের পোশাক হবে রেশমী। [ সুরা হাজ্জ্ব ২২:২
৫৬। সূরা-২২ হাজ্ব আয়াত: 50
সুতরাং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে আছে পাপ মার্জনা এবং সম্মানজনক রুযী। [ সুরা হাজ্জ্ব ২২:৫০ ]
৫৭। সূরা-২২ হাজ্ব আয়াত: 56
রাজত্ব সেদিন আল্লাহরই; তিনিই তাদের বিচার করবেন। অতএব যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে তারা নেয়ামত পূর্ণ কাননে থাকবে। [ সুরা হাজ্জ্ব ২২:৫৬
৫৮। সূরা-২৩-মুমিনুন আয়াত : :৫১
‘হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র ও ভাল বস্ত্ত থেকে খাও এবং সৎকর্ম কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সর্ম্পকে আমি সম্যক জ্ঞাত। আল-বায়ান
৫৯। সূরা-২৪-নূর :আয়াত : ৫৫
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে এ মর্মে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি নিশ্চিতভাবে তাদেরকে যমীনের প্রতিনিধিত্ব প্রদান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দীনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তিনি তাদের ভয়-ভীতি শান্তি-নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা আমারই ইবাদাত করবে, আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর এরপর যারা কুফরী করবে তারাই ফাসিক। আল-বায়ান
৬০। সূরা-২৫-ফুরকান::আয়াত :৭০,
তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে। পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান
৬১। সূরা-২৫-ফুরকান::আয়াত :৭১
আর যে তাওবা করে এবং সৎকাজ করে তবে নিশ্চয় সে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে। আল-বায়ান
৬২। সূরা-২৬-শো'আরা: আয়াত :২২৭
তবে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আর আল্লাহকে অনেক স্মরণ করেছে। আর তারা নির্যাতিত হওয়ার পর প্রতিশোধ নেয়। আর যালিমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কোন্ প্রত্যাবর্তন স্থলে তারা প্রত্যাবর্তন করবে। আল-বায়ান
৬৩। সূরা-২৭-নমল:আয়াত :১৯
তারপর সুলাইমান তার কথায় মুচকি হাসল এবং বলল, ‘হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর’। আল-বায়ান
৬৪। সূরা-২৮-কাসাস আয়াত :.:৬৭,
তবে যে তাওবা করেছিল, ঈমান এনেছিল এবং সৎকর্ম করেছিল, আশা করা যায় সে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল-বায়ান
৬৫। সূরা-২৮-কাসাস আয়াত :.৮০
যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলল- ‘ধিক তোমাদের প্রতি, আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠতর তাদের জন্য যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে, আর সত্যপথে অবিচল ধৈর্যশীল ছাড়া অন্য কেউ তা প্রাপ্ত হয় না। তাইসিরুল
৬৬। সূরা-২৯-আনকাবুত:আয়াত :৭,
আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, অবশ্যই আমি তাদের থেকে তাদের পাপসমূহ দূর করে দেব এবং আমি অবশ্যই তাদের সেই উত্তম আমলের প্রতিদান দেব, যা তারা করত। আল-বায়ান
৬৭ সূরা-২৯-আনকাবুত:আয়াত :,৯,
আর যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করব। আল-বায়ান
৬৮। সূরা-২৯-আনকাবুত:আয়াত :৫৮
আর যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে, তাদেরকে অবশ্যই আমি জান্নাতে কক্ষ বানিয়ে দেব, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। কতইনা উত্তম আমলকারীদের প্রতিদান! আল-বায়ান
৬৯। সূরা-৩০-রুম আয়াত : ১৫,
অতএব যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদেরকে জান্নাতে পরিতুষ্ট করা হবে। আল-বায়ান
৭০। সূরা-৩০-রুম আয়াত : ৪৪,
যে কুফরী করে তার কুফরীর পরিণাম তার উপরই। আর যারা সৎকর্ম করে তারা তাদের নিজদের জন্য শয্যা রচনা করে। আল-বায়ান
৭১। সূরা-৩০-রুম আয়াত :,৪৫
যেন তিনি স্বীয় অনুগ্রহে প্রতিদান দেন, যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদেরকে। নিশ্চয় তিনি কাফিরদের ভালবাসেন না। আল-বায়ান
৭২। সূরা-৩১ লোকমান আয়াত : 0৮
যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নেয়ামতে ভরা জান্নাত। [ সুরা লুকমান ৩১:৮ ]
৭৩। সূরা-৩১ লোকমান আয়াত : 0৯
সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহর ওয়াদা যথার্থ। তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। [ সুরা লুকমান ৩১:৯]
৭৪। সূরা-৩৩-আহযাব আয়াত :৩১
আর তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে এবং নেক আমল করবে আমি তাকে দু’বার তার প্রতিদান দেব এবং আমি তার জন্য প্রস্তুত রেখেছি সম্মানজনক রিয্ক। আল-বায়ান
৭৫। সূরা-৩৪ সাবা আয়াত :0৪
তিনি পরিণামে যারা মুমিন ও সৎকর্ম পরায়ণ, তাদেরকে প্রতিদান দেবেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মান জনক রিযিক। [ সুরা সা’বা ৩৪:৪ ]
৭৬। সূরা-৩৪ সাবা আয়াত :১১
যাতে তুমি পূর্ণ মাপের বর্ম তৈরি করতে পার, কড়াসমূহ সঠিকভাবে সংযুক্ত কর আর তোমরা সৎকর্ম কর। তোমরা যা কর আমি তার প্রত্যক্ষদর্শী। তাইসিরুল
৭৭। সূরা-৩৪ সাবা আয়াত :৩৭
তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন কিছু নয় যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দিবে; যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তারাই তাদের কর্মের জন্য পাবে বহুগুণ পুরস্কার; আর তারা প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। মুজিবুর রহমান
৭৮। সূরা-৩৫ ফাতির আয়াত : 07
যারা কুফর করে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর আযাব। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। [ সুরা ফাতির ৩৫:]
৭৯। সূরা-৩৮-সোয়াদ আয়াত:২৪
দাঊদ বলল, ‘তোমার ভেড়ীকে তার ভেড়ীর পালের সাথে যুক্ত করার দাবী করে সে তোমার প্রতি যুলম করেছে। আর শরীকদের অনেকেই একে অন্যের উপর সীমলঙ্ঘন করে থাকে। তবে কেবল তারাই এরূপ করে না যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে’। আর এরা সংখ্যায় খুবই কম। আর দাঊদ জানতে পারল যে, আমি তাকে পরীক্ষা করেছি। তারপর সে তার রবের কাছে ক্ষমা চাইল, সিজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং তাঁর অভিমুখী হল। [সাজদাহ] আল-বায়ান
৮০। সূরা-৩৮-সোয়াদ আয়াত:২৮
যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে আমি কি তাদেরকে যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সমতুল্য গণ্য করব? নাকি আমি মুত্তাকীদেরকে পাপাচারীদের সমতুল্য গণ্য করব? আল-বায়ান
৮১। সূরা-৪০-মুমিন-আয়াত:৪০
‘কেউ পাপ কাজ করলে তাকে শুধু পাপের সমান প্রতিদান দেয়া হবে আর যে পুরুষ অথবা নারী মুমিন হয়ে সৎকাজ করবে, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, সেখানে তাদেরকে অগণিত রিয্ক দেয়া হবে।’ আল-বায়ান
৮২। সূরা-৪০-মুমিন-আয়াত:-৫৮
আর সমান হয় না অন্ধ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি এবং যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আর যারা অপরাধী। তোমরা খুব সামান্যই উপদেশ গ্রহণ করে থাক। আল-বায়ান
৮৩। সুরা-৪১ হা-মীম / সূরা ফুসসিলাত : আয়াত ৮
নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার। [ সুরা হা-মীম ৪১:৮
৮৪। সুরা-৪১ হা-মীম / সূরা ফুসসিলাত : আয়াত ৩৩
আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’? আল-বায়ান
৮৫। সুরা-৪১ হা-মীম / সূরা ফুসসিলাত : আয়াত ৪৬
যে সৎকর্ম করে সে তার নিজের জন্যই তা করে। আর যে অসৎকর্ম করে তা তার উপরই বর্তাবে। তোমার রব তাঁর বান্দাদের প্রতি মোটেই যালিম নন। আল-বায়ান
৮৬। সুরা-৪২ শূরা : আয়াত: 22
এরই সুসংবাদ দেন আল্লাহ তার সেসব বান্দাকে, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে। বলুন, আমি আমার দাওয়াতের জন্যে তোমাদের কাছে কেবল আত্নীয়তাজনিত সৌহার্দ চাই। যে কেউ উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্যে তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, গুণগ্রাহী। [ সুরা শূরা ৪২:২৩ ]
৮৭। সুরা-৪২ শূরা : আয়াত: 23
এটা তাই, যার সুসংবাদ আল্লাহ তার বান্দাদেরকে দেন- যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। বল, ‘আমি এর জন্য তোমাদের কাছে আত্মীয়তার সৌহার্দ ছাড়া অন্য কোন প্রতিদান চাই না’। যে উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্য তাতে কল্যাণ বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই গুণগ্রাহী। আল-বায়ান
৮৮। সুরা-৪২ শূরা : আয়াত: 26
আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের আহবানে তিনি সাড়া দেন এবং তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বৃদ্ধি করেন। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব। আল-বায়ান
৮৯। সূরা-৪৩ যুখরুফ আয়াত: ৩৬
আর যে পরম করুণাময়ের স্মরনিকা (কুরআন) থেকে বিমুখ থাকে আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী। আল-বায়ান
৯০। সূরা-৪৫ যাসিয়া আয়াত: 15
যে সৎকর্ম করে, সে তার নিজের জন্যই তা করে এবং যে মন্দকর্ম করে তা তার উপর বর্তাবে। তারপর তোমরা তোমাদের রবের প্রতি প্রত্যাবর্তিত হবে। আল-বায়ান
৯১। সূরা-৪৫ যাসিয়া আয়াত: 21
যারা দুষ্কর্ম করেছে তারা কি মনে করে যে, জীবন ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে আমি তাদেরকে এ সব লোকের সমান গণ্য করব, যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে? তাদের বিচার কতইনা মন্দ! আল-বায়ান
৯২। সূরা-৪৫ যাসিয়া আয়াত: 3০
যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদেরকে তাদের পালনকর্তা স্বীয় রহমতে দাখিল করবেন। এটাই প্রকাশ্য সাফল্য। [ সুরা যাসিয়া ৪৫:৩০ ]
৯৩। সূরা-৪৭ মোহাম্মাদ আয়াত : 02
আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ সত্যে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করে দেন। [ সুরা মুহাম্মাদ ৪৭:২]
৯৪। সূরা-৪৭ মোহাম্মাদ আয়াত : 12
এর কারণ এই যে, যারা কুফুরী করে তারা মিথ্যার অনুসরণ করে, আর যারা ঈমান আনে তারা তাদের প্রতিপালকের প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। এমনিভাবে আল্লাহ মানুষের জন্য তাদের (মধ্যেকার পাপী এবং পুণ্যবানের) দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন। তাইসিরুল
৯৫। (সুরা-৪৮ আল ফাতাহ আঃ ২৯)
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন। (সূরাঃ আল ফাতহ, আয়াতঃ ২৯)
৯৬। সূরা-৬৪ আত তাগাবুন আয়াত: 09
সেদিন অর্থাৎ, সমাবেশের দিন আল্লাহ তোমাদেরকে সমবেত করবেন। এ দিন হার-জিতের দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তার পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। যার তলদেশে নির্ঝরিনীসমূহ প্রবাহিত হবে, তারা তথায় চিরকাল বসবাস করবে। এটাই মহাসাফল্য। [ সুরা তাগাবুন ৬৪:৯ ]
৯৭। সূরা-৬৫-ত্বালাক আয়াত::১১
একজন রাসূল, যে তোমাদের কাছে আল্লাহর সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করে; যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে যাতে তিনি তাদেরকে অন্ধকার হতে আলোতে বের করে আনতে পারেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে তিনি তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত; সেখানে তারা স্থায়ী হবে; আল্লাহ তো তাকে অতি উত্তম রিয্ক দেবেন। আল-বায়ান
৯৮। সূরা-৮৪-ইনশিক্কাক:আয়াত:২৫
যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে অবিচ্ছিন্ন পুরস্কার। মুজিবুর রহমান
৯৯। সূরা-৮৫-বুরুজ আয়াত::১১
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। যার তলদেশে প্রবাহিত হবে নহরসমূহ। এটাই বিরাট সফলতা। আল-বায়ান
১০০। সূরা-৯৫ ত্বীন আয়াত: 06
কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার। [ সুরা তীন ৯৫:৬ ]
১০১। সুরা-৯৮ বাইয়্যেনাহ , আয়াত : 07
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। [ সুরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৭ ]
১০২। সুরা-৯৮ বাইয়্যেনাহ , আয়াত : 08
তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর। [ সুরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৮ ]
১০৩। সুরা-১৯৩ আছর , আয়াত : 03
তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে। আল-বায়ান
এ সকল সূরার আয়াত সমূহে স্পষ্ট করে আল্লাহ বার বার উল্লেখ করেছেন বিশ্বাস এবং সৎ কর্ম বেহেস্তের চাবি !!
বিশ্বাস ও সৎ কর্ম জান্নাতের ভিত্তি
কোরানের আলোকে সৎকাজের ফর্দঃ
Al-Baqarah 2:177
Allah Subhanahu Wa Ta'ala said:
ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা তোমাদের চেহারা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ফিরাবে; বরং ভালো কাজ হল যে ঈমান আনে আল্লাহ, শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি এবং যে সম্পদ প্রদান করে তার প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও নিকটাত্মীয়গণকে, ইয়াতীম, অসহায়, মুসাফির ও প্রার্থনাকারীকে এবং বন্দিমুক্তিতে এবং যে সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং যারা অঙ্গীকার করে তা পূর্ণ করে, যারা ধৈর্যধারণ করে কষ্ট ও দুর্দশায় ও যুদ্ধের সময়ে। তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকী।" (2:177)
সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত: ১৯৫
আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন। [ সুরা বাকারা ২:১৯৫]
সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত: ২১৫
"(হে নবী) তারা আপনাকে প্রশ্ন করে যে, কি জিনিস তারা দান করবে? বলে দিন-যে বস্তুই তোমরা দান কর, তা হবে পিতা-মাতার জন্যে, আত্মীয়-আপনজনের জন্যে, এতীম-অনাথদের জন্যে, অসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ কর না কেন, নিঃসন্দেহে তা ভালোভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে।" (২: ২১৫)
সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত: ২৬১
যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ। [ সুরা বাকারা ২:২৬১ ]
সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত: ২৬২
যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না। [ সুরা বাকারা ২:২৬২ ]
সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত: ২৬৩
নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে কষ্ট দেয়া হয়। আল্লাহ তা'আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু। [ সুরা বাকারা ২:২৬৩ ]
সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত: ২৭৩
খয়রাত ঐ সকল গরীব লোকের জন্যে যারা আল্লাহর পথে আবদ্ধ হয়ে গেছে-জীবিকা র সন্ধানে অন্যত্র ঘোরাফেরা করতে সক্ষম নয়। অজ্ঞ লোকেরা যাঞ্চা না করার কারণে তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তোমরা তাদেরকে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনবে। তারা মানুষের কাছে কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না। তোমরা যে অর্থ ব্যয় করবে, তা আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই পরিজ্ঞাত। [ সুরা বাকারাম২:২৭৩ ]
সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত: ২৭৪
যারা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, রাত্রে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাদের জন্যে তাদের সওয়াব রয়েছে তাদের পালনকর্তার কাছে। তাদের কোন আশংঙ্কা নেই এবং তারা চিন্তিত ও হবে না। [ সুরা বাকারা ২:২৭৪ ]
কোরানের আলোকে বিশ্বাস ও ভালো/ সৎ কাজের তালিকা !
আল্লাহর উপর, ফেরেস্তাগণের উপর, নবী রাসুল গণের উপর, আসমানী কিতাব সমুহের উপর, তাকদির এর উপর, পূনরূত্থান এর উপর পূর্ণ বিশ্বাস করতে হবে !!
দরিদ্র অবস্থায় এবং স্বচ্ছল অবস্থায় দান করা, (পিতা মাতা, আত্মীয় স্বজন, এতিম, মিসকিন,ফকির, মুসাফির, দাশ মুক্তি), সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান, কোরানের মুসল্লি হওয়া! জীবনের কঠিন সময়ে ধর্য্য ধারন করা, প্রভৃতি; কোরানের বর্ণীত সৎ কাজ ।
আল কোরানে মসজিদ সংরক্ষন বিষয়ক আয়াত সমূহ !
৯. আত-তাওবা ৯:১৭
মুশরিকদের অধিকার নেই যে, তারা আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, নিজদের উপর কুফরীর সাক্ষ্য দেয়া অবস্থায়। এদেরই আমলসমূহ বরবাদ হয়েছে এবং আগুনেই তারা স্থায়ী হবে। আল-বায়ান৯. আত-তাওবা ৯:১৮ একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, ওরা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল-বায়ান
আরো রেফারেন্স:-
-২-বাকারাহ:২৫, ৬২, ৮২, ১৯৫, ২১৫, ২৬২, ২৭৪, ২৭৭ -৩-আল ইমরান:৫৭, ১৩৪ -৪-নিসা:৫৭,১২২,১২৪,১২৫,১৭৩ -৫-মায়েদা :৯,৯৩ -৬. আন আম, ৮২, ১৬০ -৭-আরাফ :৪২, ১৫৩ -৮.. আনফাল, -৯-তওবা,,৬৭,৭১,৯১,:১০২,১০০,১১২,১২০, -১০-ইউনুস:৪,৮,৯ -১১-হূদ:১১,২৩ -১২ . Yusuf -12 -১৩-রা'দ :২৯ -১৪-ইব্রাহিম:২৩, -১৬-নাহল :৯৭ -১৭-বনিইসরাইল: ১৮-কাহফ ২, ৩০, ৪৬, ৮২, ৮৮, ১০৭, -১৯-মারিয়াম:৬০,৭৬,৯৬ -২০-ত্বয়াহা:৭৫,৮২,১১২ -২১-আম্বিয়া:৯৪ -২২-হজ্ব :১৪,২৩,৫০,৫৬। -২৩-মুমিনুন :৫১ -২৪-নূর :৫৫ -২৫-ফুরকান:৭০,৭১ -২৬-শো'আরা:২২৭ -২৭-নমল:১৯ -২৮-কাসাস :৬৭,৮০ -২৯-আনকাবুত:৭,৯,৫৮ -৩০-রুম :১৫,৪৪,৪৫ -৩১-লোকমান :৮,৯- -৩২-সেজদাহ :১৯- -৩৩-আহযাব :৩১- -৩৪-সাবা:৪,১১,৩৭- -৩৫-ফাতির:৭- -৩৮-সোয়াদ:২৪,২৮- -৪০-মুমিন:৪০,৫৮- -৪১-হামিম আস সাজদা:৮,৩৩,৪৬ -৪২-শুরা :২২,২৩,২৬, ৪৫-জাসিয়া :১৫,২১-,৩০- ৪৭-মুহাম্মদ:২,১২ -৪৮-ফাতহ্:১৯ -৬৪-তাগাবুন:৯ -৬৫-ত্বালাক:১১ -৮৪-ইনশিক্কাক:২ ৫ -৮৫-বুরুজ :১১, -৯৫-ত্বীন:৬ -৯৮-বায়্যিনাহ:৭, -১০৩-আছর :৩