Skip to main content

বাংলাদেশের রাজনীতি, নাকি রাজনীতির বাংলাদেশ, পর্ব - 01

বাংলাদেশের রাজনীতি, নাকি  রাজনীতির বাংলাদেশ, পর্ব - 01

বাংলাদেশের রাজনীতি অথবা রাজনীতির বাংলাদেশ,  কথা গুলো  আমরা যে  ভাবেই    বলি না কেন   মূল কথা  কিন্তু  শেষ পর্যন্ত  এক টাই !!   ভালো  নেই  বাংলাদেশ,  ভালো  নেই তার সতের কোটি

মো ঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

 জনগণ ।  বাংলাদেশের  বড় দুই রাজনৈতিক দলের যাঁতা কলে  ঘুরে   যেন  ফাটা বাঁশের  চিপায় আটেক আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে   বাংলাদেশ,  তথা বাংলাদেশের আপারময়  জনগণ । আজ আমি মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আমার এ ধারাবাহিক আলোচনায় যে প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করবো, তা হলো , বাংলাদেশের রাজনীতি নাকি রাজনীতির বাংলাদেশ। তাহ‌লে আর দে‌রি কেন সরাস‌রি চ‌লে আ‌সি আ‌লোচনায়।
আমার নাম গনতন্ত্র !! আজ কোথা থেকে শুরু করবো ভাবছি , আমার মনে হয় 1991 সাল থেকে হিসাব করলেই ভালো হয় ! কেননা  আমি তখন 19 বছরের টগবগে যুবক , বহু কষ্ট ত্যাগ সাধনা আর আন্দলনের মাধ্যমে চাঁচার কাছ খেকে বুঝে নিলাম আমার সংসার !  ব্যাস সংসার এখন আমার, আমি চালাবো আমার মতো করে ! কিস্ত বাধ সাধলো মুরুব্বিরা ! তারা বল‌লো,  আরে না! এখও সংসার বোঝা টানার মতো যোগ্যতা হয়নি তোর,  পারবিনা তুই তোর মাকে দে , উনিই চালাক সংসার ! বড় হয়ে ওঠ ,  পৌরষত্ব অর্যন করে পুরুষ হয়ে  ওঠ, তার পর সংসার চালাস !! সংসার এত ছোট জিনিস না !! আর কি !  ব্যাস ছেড়ে দিলাম মাকে  সংসার !!
 কেটে গেল কোথা দি‌য়ে  47 বছর, টেরই পেলাম না !!  কিস্তু  কি হলো  আমার !  এটা কেমন হলো !! না !! হয়নি , তা অবশ্য ঠিক না !! হয়েছেতো কিছু অবশ্যই ! তা হলো , ক্ষমতার পালাবদল !  বড় মা আর ছোটমা এর মধ্যে !! হযেছে চুলো-চুলি হয়েছে রক্তা-রক্তি !! মাঝখান থেকে শুধু আমি আজও  পৌরষত্ব অর্যন করে, পুরুষ হয়ে উঠতে পারলাম না ! অথবা  হয়ে উঠতে পারলামনা মায়ের আস্থাভাজন সন্তান !! হয়ে উঠলাম কাপুরুষ!! আজ ও পারলাম না নিজের পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে !! সংসা‌রের হাল আর আমার ধরা হ‌লো না ! ফলে মায়ের সংসারেই পরে থাকতে হচ্ছে !  মা‌য়ের রা‌জ্যে দি‌ব্যি খা‌চ্ছি ঘু‌মো‌চ্ছি ,মা‌ঝে মা‌ঝে গা‌য়ে হাওয়া লাগা‌নোর জন্য ঘু‌রেও বেড়া‌চ্ছি ! ম‌নে তো হয় ভালই আ‌ছি !  রা‌জ্যের সব শুখ‌তো এখন আমার পা‌য়ে লু‌টো পু‌টি খা‌চ্ছে। আহ্ !  এত শুখ  সহিবো কেমন ক‌রে ! ,,,,,   এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেমন চলছে আমার মায়ের সংসার ? উত্তর যেমন চলার কথা তেমনি চলছে খুরিয়ে খুরিয়ে, টেনে হেচড়ে!! তাইতো স্বাধীনতার 47তম  সেঞ্চুরীতেও  আজ আমারা ঠিক করতে পারিনি কেমনে পালা বদল  হবে ক্ষমতার , বাষ্ট্রপতির  ক্ষমতা কতোটুকু , প্রধান মন্ত্রির বা কতটুকু!! আমরা তাইতো পারিনি নিশ্চিত করতে আইন বিভাগ আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা!!  
1991- 2018 অর্থাঃ বিগত 27 বছর ধরে চলছে এ দেশে মাতৃ শাষন !! পুরুষের বডড অভাব বাংলাদেশে !! এাদেশে যে কো পুরুষ নেই  ! সব যেন কা পুরুষ !! মেডিকেল করা দরকার এ দেশের মানুষ গুলোর সত্যি আমরা পুরুষ আছি  নাকি হিজড়া হয়ে গেছি আমরা প্রশ্ন রইলো সবার কছে!!  (চলবে)

Popular posts from this blog

-ঃআল-কুরআনুল করীমঃ-

বিস‌মিল্লা‌হির রহমনুর রহিম -ঃআল-কুরআনুল করীমঃ- ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বাংলা তরজমা ও সম্পাদনাঃ- শামসুল ‘উলামা বেলায়েত হোসেন  মাওলানা আবদুর রহমান কাশগরী  মুহম্মদ মাহমূদ মুস্তফা শা'বান  শামসুল উলামা মুহম্মদ আমীন 'আব্বাসী  ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্  প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ অধ্যক্ষ এ.এইচ. এম. আবদুল কুদ্দুস  মাওলানা মীর আবদুস সালাম অধ্যাপক শাহেদ আলী মাওলানা ফজলুল করীম  এ.এফ.এম. আবদুল হক ফরিদী  আহমদ হুসাইন  মাওলানা আলাউদ্দীন আল-আজহারী  মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ্  হাফেজ মঈনুল ইসলাম আবুল হাশিম -ঃ৩য়সংস্করণের সম্পাদকমণ্ডলীঃ- ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ জনাব আ.ফ.ম. আবদুল হক ফরিদী ডক্টর এ.কে.এম. আইউব আলী  ডক্টর মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ডক্টর এম. শমশের আলী জনাব দাউদ-উজ-জামান চৌধুরী জনাব আহমদ হুসাইন জনাব মাওলানা আতাউর রহমান খান জনাব মাওলানা ওবায়দুল হক জনাব আ.ত.ম. মুছলেহ্ উদ্দীন জনাব মোহাম্মদ ফেরদাউস খান জনাব মাওলানা রিজাউল করীম ইসলামাবাদী জনাব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ জনাব এ.এফ.এম. আবদুর রহমান অধ্যাপক শাহেদ আলী  মুফতী মুহাম্মদ

Whey The Government Sector Are So Poor !

Add caption Whey The Government Sector Are So Poor ! ভাল ছাত্ররা কেন পুুলিশ বা আর্মীতে চাকুরী পায়না !! কথা সত্য ! স্কুলের প্রথম ব্রেঞ্চের ছাত্ররা খুব কমই সরকারী চাকুরী পায় !! কেননা মেধার জোর থাকলেও তাদের শুপারিশের জোর থাকেনা ! তাইতো সরকারী সেক্টরে তাদের চাকুরীও হয়না ! হলেও হয় কোন প্রায়ভেট ফোর্মে অথবা প্রবসে ! আর পুলিশের চাকুরী হয় সব সময় পেছনের ব্রেঞ্চের ছাত্রের ! কারন ওদের মেধা না থাকলেও খুটির জোর আছে !! তাছাড়া ও যখন পুলিশের চাকুরী হয় তখন ভাল ছাত্র, মেধাবীরা পড়া লেখায় ব্যস্ত থাকে, নিজেকে বিকশিত করে, আগামীতে বড় কোন অফিসার হবার !! কিন্তু ! তাদের পড়ালেখা যখন শেষ, তখন পুলিশের কোটাও শেষ ! আর্মি এর কোটা শেষ ! সরকারী চাকরীর কোটাতো রিজাভ আছে, কোন নেতা, বড় বাবু, তথা , এলিট বা ধনীক মহাশয়ের অযোগ্য পুত্র বা নাতি বা ভাতিজা অথবা ভাগ্নী ইত্যাদির জন্য ! তাইতো মেধাবী মধ্যবিত্ত ছেলেটির আর সরকারী দপ্তরে আসা হয়না ! যেতে হয় প্রায়ভেট ফোর্মে ! ফলা ফল প্রায়ভেট সেক্টর লাভ করলেও সরকারী সেক্টর সবসময় লোকসান গুনতেই থাকে !! কেননা মেধা তো মেধাই তাইনা !! প্রত্যেকটা সেক্টরের ‍দিকে তাকান, সম অবস্তা দেখবেন !

বিষয় : নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি   এই সেই ধর্ষক  "ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষকই"   ধর্ষকের কোন দল নাই..  সে কারো আত্মীয় নয়  কারো ভাই বা সন্তন নয় তার একটাই পরিচয় ; সে ধর্ষক !! তাই আমি চাই; ধর্ষনকারীর কঠিন  শাস্তি হোক. . আমি সামগ্রিক ভাবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ্য ও কঠিন শাস্তি দাবী করছি। অন্যদিকে দুঃখজনক ভাবে এই ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস্রতায় রুপ প্রদানে ব্যস্ত মাহফুজ আনাম, ডেইলিস্টার, প্রথম আলো, যুগান্তর সহ একটা পক্ষ!গৃহবধূর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা সত্য তবে এটার সাথে আ'লীগের ভোট দেওয়া না দেওয়ার বিষয় জড়িত নয়। গৃহবধূর স্বামী জানান, রোববার দুপুরের দিকে তার স্ত্রী স্থানীয় ভোটকেন্দ্র চর জুবলীর ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান। তিনি ভোট দিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করে এবং উত্ত্যক্ত করে। তার স্ত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। এ অবস্থায় রুহুল আমিন ও তার লোকজন স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রোববার গভীর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল সন্ত্রাসী দরজা ভেঙ