Skip to main content

নির্বাচন-2018, কে হচ্ছেন আগামী দিনে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী

 বাংলাদেশের রাজনীতি, নাকি রাজনীতির বাংলাদেশ, পর্ব - 03

আজকের বিষয় ঃ নির্বাচন 2018 

 মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

নির্বচন 2018 । এবার  খেলার মাঠের পরিস্থিতি এবং বাস্তবতা সম্পূর্ন অলাদা । খেলার কৌশল ও আলাদা । দেশে রাজৗনতিক দলেরর অভাব না থাকলেও মাঠে নামছে সবাই জোট বদ্ধ ভাবে। পুরাতুন জোট মহাজোটের খেলা দেখার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে!! তাই এবার নতুন ইমেজের নতুন চমক, মহাজোট বনাম ঐক্য ফ্রন্ট। মনে হচ্ছে খেলা জমবে ভাল । নির্বচনী হাওয়ায় জনতাও বেশ চনমনে আমেজে ।  ফলাফল  এখনো অনেক দেরি।  এরই মধ্যে চলছে হিসাব নিকাশ , তথ্য উপাত্য সংগ্রহ আর হিসাব নিকাশের কাজ। আলোচনা সমালোচন, আর মন্তব্যে পরিস্থিতি গুমোট । হিসাব নিকাশ, আলোচনা সমালোচন, আর মন্তব্যের মধ্যে লক্ষ কোটি প্রশ্নের সেরা যে প্র্রশ্ন , কে হচ্ছে  বাংলাদেশেরে  আগামী  দিনের  প্রধান মন্ত্রী !! খালেদা জিয়া ! তারেক জিয়া !! ডঃ কামাল !!! শেখ হাসিনা নাকি মীর্জা ফখরুল হোসেন !! নাকি আমাদের  জাতীয় চাচা এরশাদ !!!
বাংলাদেশের  রাজনীতিক ইতিহাসের শেষের 27 বছরের মধ্যে সবচেয়ে  উল্লেখ যোগ্য এবং স্বরন যোগ্য একটা নির্বাচন হতে চলছে 2018 সালের নির্বাচন !! রাজনীতিতে পল্টিবাজী, ঘাপলাবাজী ,মেরুকরন, জাতীয়করন ,দলীয়করন, সহ এমন কোন অধ্যায় নাই যা আমরা এ নির্বাচনে দেখছিনা ! যাকে বলে আদর্শ নির্বাচন!!  সোনায় সোহাগা !! 100 তে 100 !! কি কি আছে এ নির্বাচনে  হিসাব করলে  হিসাবের খাতা অনেক বড় হয়ে যাবে ! তার চেয়ে ভাল কি নেই তা দেখার চেষ্টা করা ! সে ক্ষেত্রে হিসাব নিকাশটা অনেকটা শট কাট হয়ে যাবে !! তাহলে  আর দেরি কেন , দেখা যাক কি নেই এ নির্বাচনে! এ নির্বাচনে যা নেই তা হলো, নীতি আর  নৈতিকতা !!  সত্য আর সততা !! এ নির্বাচনে জয়ী হতেই হবে, তা যে ভাবেই হোক !! তাই তো আমরা দেখতে পাচ্ছি সারাজীবন বঙ্গ বন্ধুর আদর্শ এর শ্লোগান দিয়ে রাতা রাতি বলছে শহীদ জিয়া ওমর হোক খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ !  আবার আরো দেখতে পাচ্ছি, অপর জন সারাজীবন আওয়ামীলীগ কে গোছল করিয়ে, তারেক জিয়া কে করে নিয়েছে তারুণ্যের আইকোন।  সে ও আজ সামনের চেয়ারে বসে বলছে , জয় বাংলা জয় বঙ্গ বন্ধু !! আরও চমকের বিষয়, বি এন পি এর  পোষ্য পুত্র , কেউবা বলে কণিষ্ট  পুত্র,  আবার কেউ বা বলে,  বি এন পি এর   সহযোগী সংগঠন ! তা যাই হোক এদের নাম “ জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ “ এর  নেতা কর্মীরাও ডিগবাজী  খেয়ে আওমীলীগের পতাকা তলে  আশ্রয় নিচ্ছে । আর এরশাদ চাচার কথা নাইবা বল্লাম!!   এবার  এটাকে কি বলবেন আপনি ? কৌশল ? না অন্য কিছু !!  আমি বলবো  জি , এটা একটা কৌশল ক্ষমতার ট্রিগারটা হাতে রাখার জন্য। এখানে নীতি আদর্শ বর্জনীয়!! তাই যদি হয়!  তবে এত সব  নীতি আদর্শ সব মিছে? লোক দেখানো ভন্ডামী ? ক্ষমতায় যাওয়াটাই কি  আসল কথা ! তা যে ভাবেই হোক ! প্রয়োজনে ........না থাক ।  উত্তর কে দেবে !! জানিনা !! কিন্তু আমরা জনগন উত্তর চাই !!

নির্বাচনের ফলাফল যাই হোকনা কেন,  ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে তথা বাংলার মসনদে বসবে  ঐক্যজোট অথবা মহাজোট এটা 100 ভাগ নিশ্চিত। এ নিয়ে কোন দ্বীধা বা দ্বন্দের অবকাশ আসলেই নাই ! তবে দ্বীধা বা দ্বন্দের  দোলনায় দুলছে যে কথা, তা হলো,  কে হচ্ছেন 2019 সালের বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী ???  না ঠিক বোঝা যাচ্ছেন হিসাবটা !! কেমন যেন সব কিছুই ঘণ কুয়াশায় ঢাকা ! দেখা যাচ্ছেনা কোন কিছুই স্পষ্ট করে !! অথচ সব যেন ষ্পষ্ট দিবালোকের মতো !! চলুন না পাঠক একবার ভিতরে গিয়ে দেখাই  যাকনা, আসলে ব্যপারটা কি ??  চলুন ঢুকে পড়া যাক ! তথ্য উপাত্য আর সমীকরনের কাটা বনে। 
এ বেশ কঠিন হিসাব নিকাশ !! নির্বাচনের ফলাফল যাই হোকনা কেন, 360 ডিগ্রী এ্যাংগেল থেকে নির্বাচনী মাঠের ছবির যে ভিউ আমরা দেখতে পাচ্ছি,  যদি গ্রাফিক্স এ কোন কাজ না করা হয়, তবে নিরঙ্কষ ভাবে বিজয়ী হয়ে, কোন দলই ক্ষমতায় যেতে পারবে বলে মনে হয়না ! সে ক্ষেত্রে  অবশ্যই সরকার গঠনে কোয়ালিশণ করতে হবে। যা গনতন্ত্রকে একটা মজবুত খুটির উপর দাড় করাবে। এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই।
আমরা মহাজোটের হিসাবটায় যদি আসি তবে, মহাজোটের অন্যতম প্রধান দল আওমিলীগের, এর পর পরই আসে জাতীয় পাটী । অন্য সব দলগুলো হিসাবের মধ্যে না  নিলেও সমস্যা নাই ! আমাদের সংসদ গঠনে দরকার  সরাসরি 151 আসন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ যদি পায় 125 বা 130 আসন, এরশাদ পায় 15-20  আসন, অন্যান্নরা পায় 12-13 আসন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ কে এরশাদের উপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া কোনই গতি থাকবেনা । তখন যদি এরশাদ প্রধান মন্ত্রী হতে চায় , তখন কি করবে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ ?  তখন কি  শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন এবং এরশাদ হবেন প্রধান বাংলাদেশের মন্ত্রী ??  উত্তর ঃ  আমরা  জানিনা !! জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে !! 

এবার আসি ঐক্যফ্রন্টের দিকে. এখানে মার্কা সবার ধানের শীষ । দল অনেক গুলো হলেও হালে পানি পাবার জন্য এখানে অনেকেই  এসেছে। কেউ বা  আবার এসছে মন্ত্রী বা এমপি হওয়ার সাধ নেয়ার জন্য। তার মানে সুবিধা বাদ জিন্দাবাদ। ও, কে, নো প্রব্লেম। হেয়ার অল থিংঙ্কস আর ফেয়ার এন্ড লাভলী! এখনেও হিসাবের দল বি এন পি এবং জামাত । প্রধান মন্ত্রীত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে কোন মতো পার্থক্য এর অবকাশ এখানে নাই ।কেননা আগেই বলেছি ,জামাত,  বি এন পি এর  পোষ্য পুত্র ।  তাছাড়া  ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকো আগেই বলা হয়েছে, দল বিজয়ী হলে, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান মন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। অনেকে আবার ডঃ কামাল হোসেনকেই 2019 সালের বাংলাদেশের ভাবী প্রধান মন্ত্রী হিসাবে ভেবে ছিলেন।  কিন্তু ডঃ কামাল হোসেন নিজে নির্বাচন না করায় সে ভাবনা আর হালে পানি পাচ্ছেনা । কেননা সংবিধান মতাবেক কোন অনির্বাচিত ব্যক্তি প্রধান মন্ত্রী হতে পারবেন না । সুতরাং এ ভাবনার ইতি হলো এখানেই । এখন তবে বরাবরের মতো বেগম খালেদা জিয়াই হচ্ছেন 2019 সালে বাংলাশের প্রধান মন্ত্রী !! আর বাধা কোথায় !! জি ....... ??  কি বললেন......? বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারছেন না... ?? ও.. হো....  তাইতো, আমার তো মনেই ছিলনা!  কেমন হলো ব্যপার টা ....!! বেগম খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনের বাহিরে থাকে, তবে সংবিধান মতাবেক অনির্বাচিত ব্যাক্তি হিসাবে  তিনিতো এবার  প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হতে পারছেন না!! ইস.... !! ওকে.....,   না হলে সমস্যা নাই !! বি এন পি এর তারুণ্যের আইকোন তারেক জিয়া তো আছেনই! নো প্রব্লেম !! তাহলে তারেক জিয়াই হচ্ছেন আগামী 2019 সালের প্রথম প্রধান মন্ত্রী ! কি বলেন!!  সো কিউট তাইনা ?  কি বললেন...... ? না ........!! কিন্তু না কেন..?? জি...... !! আচ্ছা........ ! ঠিক তাই !! বেগম খলেদা জিয়ার মতো সম কারনে তারেক রহমান প্রধান মন্ত্রী হতে পারছেন না !! তাহলে কি হবে ! সমস্যা তো প্রকট ! ঐক্যফ্রন্টের দিকে ক্ষমতা গেলে কে হবেন প্রধান মন্ত্রী ?? কি বললেন .........? নো প্রব্লেম .......?? জি..,  জি..,  নো প্রব্লেম.... !! পাওয়া গেছে শেষ বিকল্প, মীর্জা ফকরুল ইসলাস আলমগীর । ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে তিনিই হবেন আগামী 2019 সালে বাংলাদেশের প্রধান মস্ত্রী!! সমাধানতো একটা পাওয়া গেল !! কিন্তু.... ‍কিন্তুটা কি....?? রাজনীতি.... !!!  এখানে ও কি রাজনীতি.....??  নাকি কাক তালীয়তা !! এ কি রাজনীতির নীল নকশা নাকি রাজনীতির মীরাক্কেল !! এটাকি বাংলাদেশের রাজনীতি নাকি রাজনীতির বাংলাদেশ !!  জানিনা !! আপরা জানলে মাজীত ভাবে কমান্ড করুন !!  

Popular posts from this blog

-ঃআল-কুরআনুল করীমঃ-

বিস‌মিল্লা‌হির রহমনুর রহিম -ঃআল-কুরআনুল করীমঃ- ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বাংলা তরজমা ও সম্পাদনাঃ- শামসুল ‘উলামা বেলায়েত হোসেন  মাওলানা আবদুর রহমান কাশগরী  মুহম্মদ মাহমূদ মুস্তফা শা'বান  শামসুল উলামা মুহম্মদ আমীন 'আব্বাসী  ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্  প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ অধ্যক্ষ এ.এইচ. এম. আবদুল কুদ্দুস  মাওলানা মীর আবদুস সালাম অধ্যাপক শাহেদ আলী মাওলানা ফজলুল করীম  এ.এফ.এম. আবদুল হক ফরিদী  আহমদ হুসাইন  মাওলানা আলাউদ্দীন আল-আজহারী  মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ্  হাফেজ মঈনুল ইসলাম আবুল হাশিম -ঃ৩য়সংস্করণের সম্পাদকমণ্ডলীঃ- ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ জনাব আ.ফ.ম. আবদুল হক ফরিদী ডক্টর এ.কে.এম. আইউব আলী  ডক্টর মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ডক্টর এম. শমশের আলী জনাব দাউদ-উজ-জামান চৌধুরী জনাব আহমদ হুসাইন জনাব মাওলানা আতাউর রহমান খান জনাব মাওলানা ওবায়দুল হক জনাব আ.ত.ম. মুছলেহ্ উদ্দীন জনাব মোহাম্মদ ফেরদাউস খান জনাব মাওলানা রিজাউল করীম ইসলামাবাদী জনাব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ জনাব এ.এফ...

বিষয় : নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি   এই সেই ধর্ষক  "ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষকই"   ধর্ষকের কোন দল নাই..  সে কারো আত্মীয় নয়  কারো ভাই বা সন্তন নয় তার একটাই পরিচয় ; সে ধর্ষক !! তাই আমি চাই; ধর্ষনকারীর কঠিন  শাস্তি হোক. . আমি সামগ্রিক ভাবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ্য ও কঠিন শাস্তি দাবী করছি। অন্যদিকে দুঃখজনক ভাবে এই ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস্রতায় রুপ প্রদানে ব্যস্ত মাহফুজ আনাম, ডেইলিস্টার, প্রথম আলো, যুগান্তর সহ একটা পক্ষ!গৃহবধূর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা সত্য তবে এটার সাথে আ'লীগের ভোট দেওয়া না দেওয়ার বিষয় জড়িত নয়। গৃহবধূর স্বামী জানান, রোববার দুপুরের দিকে তার স্ত্রী স্থানীয় ভোটকেন্দ্র চর জুবলীর ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান। তিনি ভোট দিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করে এবং উত্ত্যক্ত করে। তার স্ত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। এ অবস্থায় রুহুল আমিন ও তার লোকজন স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রোববার গভীর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল সন্...

আল কুরআনের বার্তা / The Qurannic masses

  -ঃআল কুরআনের মূল বার্তা বা ম্যাসেজঃ- সুরা বাকারা আয়াত-186 وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُواْ لِي وَلْيُؤْمِنُواْ بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে। ********************************************************************************************** (বিশেষ দ্রষ্টব্য: আর আল কুরআনে ক্রমিক নং অনুযায়ী ১১৪টি সূরা বা অধ্যায় আছে। তাই (১৫:৯) এর মানে আল কুরআনের ১৫ নং সূরা এর ৯ নং আয়াত। যাতে করে, সকল পাঠক পাঠিকা বৃন্দ সহ‌জেই আরবি কুরআনের সাথে মিলিয়ে অর্থ চেক করতে পারেন।) আল কুরআনের মূল বার্তাঃ  কোরান পড়ার সাথে অজু বা গোসলের কোন সম্পর্ক নাই। এ বিষ‌য়ে আল্লাহ তায়ালা প‌বিত্র কোরা‌নে পা‌কে ব‌লেন,  "আর যখন তুমি কুরআন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্...