Skip to main content

বাংলাদেশের রাজনীতি, নাকি রাজনীতির বাংলাদেশ, পর্ব - 02

বাংলাদেশের রাজনীাতি, নাকি রাজনীতর বাংলাদেশ,  পর্ব -02

মো ঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী


প্রশ্ন আর প্রশ্নের উত্তর  খুজছি আমি  বাংলাদেশের রাজনীাতি নাকি রাজনীতর বাংলাদেশ, কথাটা আমাদের সর্ব পরিচিত হলেও এর মাঝে লুকিয়ে আছে হাজোরো জানা অজানা প্রশ্ন আর উত্তর যা খুজে বের করে সামনে তুলে আনার চেষ্টা করছি আমি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ! আজ স্বাধীনতার  অর্ধ সেঞ্চুরীতে এসে আমাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আমি 52 দেখি নাই. 69  ও দেখিনাই দেখিনাই নিষ্ঠুর 71 । আমি দেখেছি শৈরাচার. দেখেছি গনতন্ত্র, আজোও দেখা হলোনা স্বাধীনতার স্বর্ণলী ভোর । জানিনা কখনো আমরা স্বাধীনতার অমৃত সাধ পাবো নাকি অদৌ পাবোনা ! এ প্রশ্নের  উত্তর আমার জানা নাই । তবে আশা করতে তো কোন বাধা নেই ! শুনেছি এ আশাতেই নাকি 30 লক্ষ্য বাঙ্গালী তাদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল স্বাধীনতা নামক সোনার হরিণটাকে। যেখানে চাওয়া পাওয়ার  এবং আশা প্রত্যাশার ঝুড়িটাও অনেকটা বড়। কিন্তু  আজ স্বাধীনতার  অর্ধ সেঞ্চুরীতে এসে হিসাব নিকাশের হাল-খাতায় বসে, খাতার পাতা উল্টে পাল্টে দেখছি , হতাশা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই তাতে। হায়রে স্বাধীনতা !! কোথায় তুমি ? আমি জানি, আমি জানি স্বাধীনতা বন্দী হয়ে আছ সংবিধানের পাতায়। মুষ্টিমেয় কয়জন মানুষ ইচ্ছে ভোগ করছে তাকে রেপিষ্টদের মতো । কারা এরা ! আমরা সবাই জানি ! এরাই নেতা এরাই রাজনীতিবিদ,ভি আই পি,  এরাই আমলা  এরাই শাষক  ! বাকী সব আমরা চাষা !  আমাদে আবার কিসের স্বাধীনতা, এর মর্মকি আমরা বুঝি !! বুঝতে কোনদিন চেষ্টাও করিনি কোনদিন!! শুধু ঘুমিয়ে কিাটিয়ে দিয়েছি অর্ধ শতাব্দী! আর কতো ঘুমাবো আমরা ? ভোর যে হয়ে গেছে অনেক আগেই ! সোনালী সূর্য পূর্ব গগণে উকি দিচ্ছে, জাগবার এটাই তো উপযুক্ত সময় !! জাগো বাঙ্গালী জাগো! মুখোশ খো’লার এইতো সময়!! রাজনীতির মূখোশ, লুটেরার মূখোশ, চোর বাটপার আর রেপি্ষ্টদের মূখোষ !! আজ দেশের  রাজনীতি কতো মহিয়ান,  রাজনীতিবিদদের দ্বারা ধর্ষিত স্বাধীনতা , দেশ বার বার দূনীতিতে চাম্পিয়ন!! চেয়ে চেয়ে শুধু দেখলামই শুধু তাইতো আমি জনগন!!   ভন্ডামী আর ধোকায় ভরা নেতাদের  ভাষন ! যে নেতা গন সংসদে বসে বার বার কাটে কশম!! চোরা চালানী আর মাদক ব্যবসায়ী , সবাই ছোট বড় নেতা, জনগন বলছে এসব কি! দুর ছাই!  চাচা আপন প্রাণ বাচা! কেউ বলছে ছেড়ে দে মা কেদে বাচি । এটিই কি বাংলাদেশের রাজনীতি ? নাকি রাজনীতিবিদদের তথা রাজনীতির বাংলাদেশ! যেটাকে গড়ানো হয়েছিল শুধু হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের জন্য ? প্রশ্ন রইলো আপনাদের কাছে ! 
এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখে তো সেদিন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে স্বাধীনতার লাল সূর্যটাকে ছিনিয়ে আনেনি !  তারা চেয়েছিল এমন একটি দেশ,  যেখানে থাকবেনা কোন তফাৎ ধনী আর গরীবের! যেথায় বসে রাজা আর প্রজা  এক সাথে খাবে খানা; অন্যায় যুলুম নির্যাতন সব এখানে তে মানা। কিন্তু স্বাধীনতার পরে আমরা কি পেলাম, বুক ভরা কান্না আর ধিক্কার, লাঞ্চনা আর অপমান! আরো অপমানিত বোধ হয়,  যখন দেখি এক জন মুক্তি যোদ্ধা ভিক্ষার থালা হাতে করুন দৃষ্টিতে চলন্ত পথিকের শ্রান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে করুনা ভিক্ষা চায় ! হায়রে বাংলাদেশ হায়রে স্বাধীনতা! হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ লক্ষ আমলা আর লক্ষ লক্ষ বাহীনি পালতে পারলেও হাতে গোনা  কয় জন মুক্তি যোদ্ধা কে আমরা দু মুঠো খাবার দিতে পারিনা ! না পারি না ! কারন তারা তো আর কোন  রাজনৈতির দলের হয়ে কাজ করেনি !! তারা করেছে দেশের জন্য কাজ। তাদের প্রতিদান দিয়ে ছোট করার কি দরকার ! যদিও বা তারা ভিক্ষা করে, ইতিহাসেতো তারা অমর ! সেখানেতো তারা মহানায়ক! এর চেয়ে বড় অর্যন আর কি পাওয়া হতে পারে ! এরই নাম আজ রাজনীতি. আর এরই কবলে আজ বাংলাদেশ ! তাইতো বলতে চাই এ যেন মোর রাজনীতির বাংলাদেশ।                                                                                                                                                                                                                                                                  (চলবে)

Popular posts from this blog

-ঃআল-কুরআনুল করীমঃ-

বিস‌মিল্লা‌হির রহমনুর রহিম -ঃআল-কুরআনুল করীমঃ- ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বাংলা তরজমা ও সম্পাদনাঃ- শামসুল ‘উলামা বেলায়েত হোসেন  মাওলানা আবদুর রহমান কাশগরী  মুহম্মদ মাহমূদ মুস্তফা শা'বান  শামসুল উলামা মুহম্মদ আমীন 'আব্বাসী  ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্  প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ অধ্যক্ষ এ.এইচ. এম. আবদুল কুদ্দুস  মাওলানা মীর আবদুস সালাম অধ্যাপক শাহেদ আলী মাওলানা ফজলুল করীম  এ.এফ.এম. আবদুল হক ফরিদী  আহমদ হুসাইন  মাওলানা আলাউদ্দীন আল-আজহারী  মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ্  হাফেজ মঈনুল ইসলাম আবুল হাশিম -ঃ৩য়সংস্করণের সম্পাদকমণ্ডলীঃ- ডক্টর সিরাজুল হক ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ জনাব আ.ফ.ম. আবদুল হক ফরিদী ডক্টর এ.কে.এম. আইউব আলী  ডক্টর মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ডক্টর এম. শমশের আলী জনাব দাউদ-উজ-জামান চৌধুরী জনাব আহমদ হুসাইন জনাব মাওলানা আতাউর রহমান খান জনাব মাওলানা ওবায়দুল হক জনাব আ.ত.ম. মুছলেহ্ উদ্দীন জনাব মোহাম্মদ ফেরদাউস খান জনাব মাওলানা রিজাউল করীম ইসলামাবাদী জনাব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ জনাব এ.এফ.এম. আবদুর রহমান অধ্যাপক শাহেদ আলী  মুফতী মুহাম্মদ

Whey The Government Sector Are So Poor !

Add caption Whey The Government Sector Are So Poor ! ভাল ছাত্ররা কেন পুুলিশ বা আর্মীতে চাকুরী পায়না !! কথা সত্য ! স্কুলের প্রথম ব্রেঞ্চের ছাত্ররা খুব কমই সরকারী চাকুরী পায় !! কেননা মেধার জোর থাকলেও তাদের শুপারিশের জোর থাকেনা ! তাইতো সরকারী সেক্টরে তাদের চাকুরীও হয়না ! হলেও হয় কোন প্রায়ভেট ফোর্মে অথবা প্রবসে ! আর পুলিশের চাকুরী হয় সব সময় পেছনের ব্রেঞ্চের ছাত্রের ! কারন ওদের মেধা না থাকলেও খুটির জোর আছে !! তাছাড়া ও যখন পুলিশের চাকুরী হয় তখন ভাল ছাত্র, মেধাবীরা পড়া লেখায় ব্যস্ত থাকে, নিজেকে বিকশিত করে, আগামীতে বড় কোন অফিসার হবার !! কিন্তু ! তাদের পড়ালেখা যখন শেষ, তখন পুলিশের কোটাও শেষ ! আর্মি এর কোটা শেষ ! সরকারী চাকরীর কোটাতো রিজাভ আছে, কোন নেতা, বড় বাবু, তথা , এলিট বা ধনীক মহাশয়ের অযোগ্য পুত্র বা নাতি বা ভাতিজা অথবা ভাগ্নী ইত্যাদির জন্য ! তাইতো মেধাবী মধ্যবিত্ত ছেলেটির আর সরকারী দপ্তরে আসা হয়না ! যেতে হয় প্রায়ভেট ফোর্মে ! ফলা ফল প্রায়ভেট সেক্টর লাভ করলেও সরকারী সেক্টর সবসময় লোকসান গুনতেই থাকে !! কেননা মেধা তো মেধাই তাইনা !! প্রত্যেকটা সেক্টরের ‍দিকে তাকান, সম অবস্তা দেখবেন !

বিষয় : নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ট্রাজেডি   এই সেই ধর্ষক  "ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষকই"   ধর্ষকের কোন দল নাই..  সে কারো আত্মীয় নয়  কারো ভাই বা সন্তন নয় তার একটাই পরিচয় ; সে ধর্ষক !! তাই আমি চাই; ধর্ষনকারীর কঠিন  শাস্তি হোক. . আমি সামগ্রিক ভাবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ্য ও কঠিন শাস্তি দাবী করছি। অন্যদিকে দুঃখজনক ভাবে এই ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস্রতায় রুপ প্রদানে ব্যস্ত মাহফুজ আনাম, ডেইলিস্টার, প্রথম আলো, যুগান্তর সহ একটা পক্ষ!গৃহবধূর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা সত্য তবে এটার সাথে আ'লীগের ভোট দেওয়া না দেওয়ার বিষয় জড়িত নয়। গৃহবধূর স্বামী জানান, রোববার দুপুরের দিকে তার স্ত্রী স্থানীয় ভোটকেন্দ্র চর জুবলীর ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান। তিনি ভোট দিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করে এবং উত্ত্যক্ত করে। তার স্ত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। এ অবস্থায় রুহুল আমিন ও তার লোকজন স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রোববার গভীর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল সন্ত্রাসী দরজা ভেঙ